::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::
শান্তিতে নোবেল প্রাপ্ত দেশে পরিকল্পিত অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিমতলা বিশ্বরোড চত্বরে বন্দর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উক্ত অভিযোগ করেন সুজন।
এসময় তিনি বলেন দেশে নির্বাচনের পরিবেশ আসলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দেশে বিদেশে নানামূখী তৎপরতা শুরু হয়। সেই তৎপরতার অংশ হিসেবে শান্তিতে নোবেল প্রাপ্ত এক ব্যক্তিকে সামনে এনে দেশের স্থিতিশীল পরিবেশকে হঠাৎ করেই অশান্ত করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে। ঐ শান্তির নোবেল প্রাপ্তির উৎপত্তি চট্টগ্রামের জোবরা গ্রাম থেকে হলেও বাংলাদেশে তার কোন প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। উপরন্তু পদে পদে গ্রামের সহজ, সরল, নিরীহ মানুষদের রক্তকে চোষন করা হয়েছে। পরবর্তী মোবাইলের মনোপলী ব্যবসার মধ্য দিয়ে মানুষের পকেট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। শান্তিতে নোবেল প্রাপ্ত হলেও মূলত তিনি শান্তির জন্য কি কাজ করেছেন তা সবার অজানা। বরঞ্চ গ্রামীণ ব্যাংকের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে আত্নহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছিল অনেক দরিদ্র গ্রাহক। সেই শান্তির নোবেল প্রাপ্ত ব্যক্তি আবারো ষড়যন্ত্রের ডালপালা বিস্তার করতে চায়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করেই তাকে সামনে নিয়ে এসেছে তার সহপাঠী এবং বন্ধুবান্ধবরা। উদ্দেশ্য শুধু একটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র অবিশ্বাস্য উন্নয়ন কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করা। আমরা জানতে পেরেছি ঐ ব্যক্তির ঘাড়ে এখন বিএনপি জামায়াত সওয়ার হয়েছে। নির্বাচন বানচালের জন্য মোটা অংকের টাকার বান্ডিল নিয়ে দেশে পরিকল্পিতভাবে অশান্তি সৃষ্ঠির পাঁয়তারা করছে তারা। আর যদি সত্যিকার অর্থেই ঐ ব্যক্তির রাজনীতি করার ইচ্ছে থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই তাকে স্বাগত জানাবো। কিন্তু তা না করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন এবং অগ্রগতির বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকে আমরা কোনভাবেই ছাড় দেব না বলেও হুশিয়ারি দেন সুজন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাংলার মানুষকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। তাই আমরাও সমস্বরে বলতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় যে এগিয়ে যাওয়া সেই এগিয়ে যাওয়াকেও কোন শক্তিই বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে চোখ কান খোলা রাখার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের উদাত্ত আহবান জানান খোরশেদ আলম সুজন।
বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুলতান আহম্মদ এর সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ জহুর আহম্মদ কোম্পানী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল আহাদ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী ও রশিদ আহাম্মদ চৌধুরী, ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক মো. ইস্কান্দার মিয়া, ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জানে আলম, ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান, ৩৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. হাসান, মোরশেদ আলম, সাহেদ বশর, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, মহিউদ্দিন কবির, কামাল ইছাকি, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল আজিম, যুবলীগ নেতা জাকির মিয়া, মো. জসিম উদ্দিন, হাজী হাবিব শরীফ, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাসান আহম্মেদ ইমু, ওয়াহিদ মুরাদ রাসেল, জাকির হোসেন, মো. নাছির, মো. মোকতার, নুর নবী, মো. রাশেদ, হোসেন চৌধুরী সাদ্দাম প্রমূখ।