::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে ।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে লাইফ সাপোর্টে সর্বশেষ মারা গেছেন ২৬ বছর বয়সী ইয়াসিন মিয়া।
হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডাক্তার এস এম আইউব হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দগ্ধ মির্জা আজম চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে মারা যান।
আজম সিদ্দিকবাজারে ওই ভবনটিতে বাংলাদেশ সেনেটারি নামের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ঘটনার সময় দোকানেই ছিলেন তিনি। বিস্ফোরণের পর দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিলেন।
মারা যাওয়া আজমের চাচা আবুল বাসার বলেন, আজম পটুয়াখালী জেলার বগা এলাকার শাজাহান মিয়ার ছেলে। স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে তিনি মগবাজারের মধুবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
গত ৭ মার্চ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সিদ্দিকবাজার ‘ক্যাফে কুইন ভবন’ নামের ওই সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। বিস্ফোরণের দিনই ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে বাকিদের মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়া ঘটনাস্থল থেকে। অন্যরা মারা যান হাসপাতালে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় ভবনটির মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান এবং ভবনের একটি দোকানের মালিক আবদুল মোতালিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা এখন পুলিশের রিমান্ডে আছেন।ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে বংশাল থানায় মামলা করে। এর আগে বিস্ফোরণের হতাহতের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করে পুলিশ।