::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::
দেশ জুড়ে তুমোল আলোচনা সমালোচনার পর জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে ভারতের আদানির বিদ্যুৎ।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তির পর থেকে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।
পিজিসিবির মুখপাত্র এবিএম বদরুদ্দোজা সুমন জানান, ‘ সন্ধ্যা থেকে আদানির বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ মেগাওয়াট আসছে। পর্যায়ক্রমে বাড়বে। ‘
দুটি ইউনিটের কেন্দ্রের ক্ষমতা ১ হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৭৫০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র উৎপাদনে এসেছে। অন্য ইউনিটের উৎপাদন এ বছরেই আসার কথা।
আদানির বিদ্যুতের দাম ও কয়লার মূল্য নিয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে বিতর্ক চলছে দেশে-বিদেশে। এ বিষয়ে পিডিবি ও আদানির মধ্যে আলোচনা চলছে ৷ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আদানি পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে ৷ আগামী ১৩ মার্চ বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল ভারতে যাবার কথা আলোচনা করতে।
আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ভারতের ঝাড়খন্ডের কোড্ডা জেলায় অবস্থিত। সেখান থেকে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আসবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহানপুরে। সেখান থেকে এই বিদ্যুৎ যাবে বগুড়াতে।ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে সঞ্চালনের জন্য মোট ২৪৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। এই সঞ্চালন লাইনের মধ্যে ভারতে ১০৮ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১৩৬ কিলোমিটার লাইন রয়েছে।
প্রতি টন কয়লার দাম ৪০০ ডলার অনুযায়ী প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ২৫ টাকার বেশি। এর মধ্যে ক্যাপাসিটি চার্জ বা কেন্দ্র ভাড়া রয়েছে পাঁচ টাকা ১১ পয়সা। এরআগে বাংলাদেশে কোনো বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে এত অধিক পরিমাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া আদানিকে কয়লার সিস্টেম লসসহ বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে যা আর কাউকে দেওয়া হয়নি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ভারতের ঝাড়খন্ডের আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ বাংলাদেশ গ্রিডের সঙ্গে সিনক্রোনাইজ করে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবনির্মিত লাইন ও গ্রিড উপকেন্দ্রের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের পরিমাণ আনুমানিক মেগাওয়াট।