আ. লীগের পতনের পর সাত মাসের বেশি সময় পলাতক থেকেও রিহ্যাবের পরিচালক পদে বহাল তবিয়তে আছেন বিদ্যুৎ খাত লুটেরা নরুল হামিদের ভাই ইন্তেভিখাব হামিদ অপু। প্রয়াত এমপি বাবার নাম ও হাসিনার লুটপাট সহযোগী প্রতিমন্ত্রী ভাইয়ের ক্ষমতায় ইন্তেখাব হামিদ অপু পুরো আ. লীগ শাসনামলে খ্যাত ছিলো প্রিন্স অব ডার্ক ওয়ার্ল্ড অব বিদ্যুৎ ও রিয়াল এস্টেট সেক্টর।
অপ্রতিরোধ্য গতি ছিলো এই ডার্ক প্রিন্সের।শ্যুটিং ফেডারেশন আড়ালে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা, কেরানিগঞ্জে ক্ষমতার দাপটে সাধারন মানুষের কোটি কোটি টাকার জমি জবর দখল, রিহ্যাবে ২০২১-২০২৩ সালে বিনা ভোটে বিপুর পছন্দ ও পরিকল্পনায় বিনা ভোটে কমিটি গঠন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখারসহ বহু অভিযোগ রয়েছে অপুর বিরুদ্ধে।
বিগত ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নসরুল হামিদ বিপু শামসুল আলামিন গ্রুপের কর্ণধার কাজল, ও ইন্তেখাবুল হামিদ অপু গংরা মিলে রিহ্যাবকে তাদের উত্তরাধিকার সম্পত্তির মতো ভোগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে এ সময়ে রিহ্যাবের কয়েক কোটি টাকা তসরুফ করেছে নসরুল হামিদ বিপু, তার ভাই অপু এবং শামসুল আলামীন গ্রুপের কাজল ও তাদের অন্য সযোগীরা।
২০২৪ এর ৫ আগষ্ট হাসিনার সরকারের পতনের টের পেয়ে কেরানিগঞ্জের দানব খ্যাত নসরুল হামিদ বিপু সপরিবারে , তার ভাই অপু ও শামসুল আলামিন গ্রুপের কাজলরা,দেশ থেকে পালিয়ে যায়।
ইন্তেখাবুল হামিদ অপু রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর পরিচালনা পর্ষদের একজন পরিচালক। রিহ্যাবের নীতিমালায় বলা রয়েছে কোন পরিচালক তিন সভায় অনুপস্থিত থাকলে তার পরিচালক পদ বাটিন বলে গণ্য হবে।
ইন্তেখাবুল হামিদ অপু ২০২৪ এর ৫ আগষ্ট থেকে পলাতক থাকার পরও কিভাবে তার পরিচালক পদ বহাল থাকে এ বিষয়ে জানতে রিহ্যাবের চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুজ্জামানের কাছে জানতে তার মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি কল রিসিভ করে নি।