20 C
Dhaka
Friday, February 14, 2025
More

    সিদ্দিকবাজারের সেই ভবন মালিক ডিবির হেফাজতে

    আরও পড়ুন

    ::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::

    গুলিস্তানের সেই ভবন মালিক ডিবির হেফাজতে
    রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকায় বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মালিককে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

    বুধবার (৮ মার্চ) ভবন মালিককে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়ে ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমরা কাউকে আটক করিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা বাড়ির মালিক, দোকান মালিকদের ডেকেছি। যারা আহত হয়েছেন, তাদের সঙ্গেও কথা বলছি।’

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির মালিক ছিলেন রেজাউর রহমান। তার মৃত্যুর পর তিন ছেলে ওয়াহিদুর রহমান, মশিউর রহমান ও মতিউর রহমান ভবনটির মালিক হন। এদের মধ্যে বড় ভাই ওয়াহিদুর রহমান ও ছোট ভাই মতিউর রহমান ভবনটি পরিচালনা করেন। মেজো ভাই মশিউর রহমান লন্ডনপ্রবাসী।

    ডিবি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে গুলিস্তানের সেই ভবনের ‘বাংলাদেশ স্যানিটারি’ নামের দোকানের মালিককে প্রথমে হেফাজতে নেয় ডিবির লালবাগ বিভাগ। তার নাম আব্দুল মোতালেব মিন্টু। পরে ভবনের মালিক ওয়াহিদুর রহমানকেও হেফাজতে নেয়া হয়।

    তিনি বলেন, ‘কার অবহেলায় এই হতাহতের ঘটনা, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ছাড়া বাইরে থেকে কেউ এটা ঘটিয়েছে কিনা বা ঘটানোর সুযোগ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    এরআগে, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের নর্থ-সাউথ রোডের ১৮০/১ হোল্ডিংয়ে সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সাততলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার তিনতলা পর্যন্ত পুরোটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি সামগ্রী আর গৃহস্থালী সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে বেরিয়ে আসে। ভবনের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের কয়েকটি ভবনও।

    পাশের সাকি প্লাজা নামে পাঁচ তলা ভবনের ওপরে চারটি ফ্লোরে ব্র্যাক ব্যাংকের গুলিস্তান শাখা এবং ব্র্যাক ব্যাংকের এসএমই সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় কাঁচ ভেঙে ব্যাংকের অফিস কক্ষগুলোর পর্দা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।

    নিহতরা হলেন: মুনসুর, আলামিন, আবু বক্কর সিদ্দিক, নাজমুল হোসেন, রাহাত, ওবায়দুল হাসান, নুরুল ইসলাম, হৃদয়, মাইনুদ্দিন, মমিনুল, নদী, আকুতি বেগম, ইসমাইল হোসেন, ইছহাক মৃধা, সুমন, আব্দুল হাকিম ও মমিনুদ্দিন সুমন। এ ছাড়া আরও দুজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর