পলি চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি :
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত রাঙামাটি জেলা বিএনপির অন্তত ৪০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে জেলা বিএনপি।
অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে একের পর এক বহিষ্কারাদেশ দিয়ে পুরো জেলাজুড়েই তৃণমূল নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বিশৃঙ্খলাকারীদের মধ্যে রাঙামাটি সদরের পাশাপাশি জেলার বাঘাইছড়ি, কাউখালী, কাপ্তাই উল্লেখযোগ্য। তবে বাঘাইছড়িতেই বহিষ্কারের সংখ্যা বেশি।
রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন বলেছেন, ‘কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত অনুসারে তারেক রহমানের নির্দেশনানুসারে আমরা দলকে আগামীর জন্য সুশৃঙ্খলভাবে সাজানোর আপ্রাণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। এতে করে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারিদের কোনো ধরনের শৈতল্য আমরা দেখাচ্ছিনা। যারাই অপকর্মের সাথে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবো আমরা।’
দলীয় সূত্র জানায়, ভারত সীমান্ত দিয়ে আনা অবৈধ সিগারেট পাঁচার, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, মারামারিসহ নানান অপকর্মের অভিযোগ তদন্তে গঠন করা হয়েছে একাধিক তদন্ত কমিটি। প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর ইতোমধ্যেই অন্তত ৪০ জনকে বহিস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ ৭ই মার্চ রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় ৩ জন ও বাঘাইছড়িতে ৫ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অপরদিকে, একইদিনে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপি’র সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইউসুফ আলী, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আশ্রাফ আলী, সদস্য মোঃ আইয়ুব আলী, প্রকাশ সরকার ও পৌর যুবদলের সদস্য খোরশেদ জর্জকে সকল পর্যায়ের দলীয় সকল পদ পদবী ও পদের কার্যক্রম দলের গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।’
সেই সাথে বাঘাইছড়িতে জেলা কর্তৃক অনুমোদন বিহীন শ্রমিকদলের পৌর ও থানা কমিটির সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উক্ত বহিস্কারাদেশ পত্রে।
রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার বলেছেন, ‘কোনো ধরনের অপকর্ম করা যাবে না– তারেক রহমানের এমন নির্দেশনা অনুসরণ করে আমরা দলকে সুসংগঠিত করছি। বিএনপি চাঁদাবাজিতে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ কোনো অপকর্মে বিশ্বাস করেনা। খুব অল্প সংখ্যক নেতাকর্মী অপকর্মগুলোর সাথে জড়িত হয়ে গেছে।’