25 C
Dhaka
Monday, March 24, 2025
More

    নাসিরনগরে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে শহীদ মিনারে সাংবাদিকের ওপর হামলা

    আরও পড়ুন

    জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি :

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে.এম বশির উদ্দিন তুহিনের নেতৃত্বে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২১ শে ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২.১৫ মিনিটে নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন তুহিনের নেতৃত্বে
    এ হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বশির উদ্দিন তুহিনের ভাতিজা কে.এম মারজান, কে এম নাসিরসহ ১০-১২ জন ছাত্রদলকর্মী ওই সাংবাদিকের উপর হামলা চালায়।হামলায় আহত সাংবাদিকের নাম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি দৈনিক কালবেলা’র নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি এবং এনটিভির (অনলাইন) নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি। মারধরে মাহমুদের মুখ, চোখ, মাথা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়েছে। পরে নাসিরনগর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবুল বাশার বলেন, ‘ওনার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা উনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। আরও কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না সেটা জানার জন্য পরীক্ষা করা হবে।’

    স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ১২টা এক মিনিটে শহীদ দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনারে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। এ সময় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুইজনকে ছাত্রলীগ বলে পেটাতে থাকে। ঘটনাটি মুঠোফোনে ধারণ করতে গেলে বশির ও তার সমর্থকেরা ওই সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসে। এসময় বশির ওই সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে প্রথমে রড দিয়ে আঘাত করে, পরে তার ভাতিজারা সহ তার কর্মীরা রড চাপাতিসহ উপর্যুপরি আক্রমণ করে।

    এ বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মী আরিফুল ইসলাম বলেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতার দ্বারা সরাসরি হামলার শিকার হওয়া দুঃখজনক। আমরা এ ধরনের সন্ত্রাসীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। হামলার শিকার সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সাথে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাতে গিয়েছিলাম। সেখানে জাতীয় নাগরিক কমিটির দুজনকে ছাত্রলীগ বলে পেটানো হচ্ছিল। পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে আমি সেখানে ফুটেজ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দৌঁড়ে এসে আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে আমার উপর হামলা করে; ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে তার ভাতিজারা সহ বশিরের দলীয় অনুসারীরা রড, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। তবে এব্যাপারে কয়েকবার চেষ্টা করেও হামলাকারীদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর