::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::
ঢাকার সাইন্স ল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণের রেশ কাটার আগেই এবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ দেখল গুলিস্তানবাসী। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে সিদ্দিক বাজারে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণির ৫ ও ৬ নম্বর ভবনে বিস্ফোরণ হয়। ভবন দুটির পাশেই একটি বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার ছিল, সেটিও বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। নিরাপত্তার জন্য গুলিস্তানের আশপাশের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সাথে উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে সেনা সদস্যরাও।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট গুলিস্তানে ভবন বিস্ফোরণস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। এই টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে।
ঢাকার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জমে থাকা গ্যাস থেকেও বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই দাবি করেছেন, দুই দিনের ব্যবধানে একের পর এক বিস্ফোরণের পিছনে নাশকতাও থাকতে পারে। যে ভবনটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত (প্রশাসন) পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।হাফিজ আক্তার বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটা ভবনটির ভেতরে গ্যাসের গন্ধ পেয়েছেন ফায়ারের কর্মীরা। তবে এখনই বিষয়টি বলা যাচ্ছে না, কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।
সায়েন্সল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে সিদ্দিক বাজারের ঘটনার সাদৃশ্যতা আছে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দুটি দুই ধরনের ঘটনা। ওই ঘটনায় আর এই ঘটনায় পৃথক রিপোর্ট দেওয়া হবে। কী কারণে দুটি ঘটনা ঘটলো তা তদন্তে উঠে আসবে।