নিজস্ব প্রতিবেদক :::
দক্ষিণ জেলা বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল ও সমাবেশ যেন লোকে লোকারন্য। সোমবার দুপুর থেকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ক্রসিংসহ নগরের সব প্রবেশ পথ ছিলো বিএনপির নেতাকর্মীদের দখলে। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে নগরের প্রবেশ দ্বার।
দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় কমিটিবিহীন থাকার পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করার পর নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচঞ্চল্য ফিরে এসেছে ; সেটিই প্রমান হলো নতুন কমিটর প্রথম আনুষ্ঠানিক সমাবেশে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় দেশের ভেতরে ও বাইরে স্বাধীনতা -সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ব্যাপক ষড়যন্ত্র হচ্ছে । ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসররা নানামুখী উস্কানি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি সহ নানান কারনে দেশের মানুষ অস্বস্তিতে আছে। এই অবস্থায় অতি দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচন দরকার যা এখন বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি।

সমাবেশে আগত বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন সাংগঠনিক স্থবিরতা বিরাজ করছিলো দক্ষিণ জেলায়। নতুন আহবায়ক কমিটিতে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করার কারণে তৃণমূলের প্রত্যাশা পুরন হয়েছে। সেকারণে প্রতিটি উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছে আজকের সমাবেশে।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের কালুরঘাট এলাকার একটি ওয়্যারহাউস থেকে একে একে ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি বের হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। আলোচিত-সমালোচিত শিল্প গ্রুপ এস আলমের গাড়িগুলো পার করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ জেলা বিএনপির তখনকার তিন নেতার বিরুদ্ধে। তাঁরা হলেন আগের কমিটির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক ও সদস্য মামুন মিয়া। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ওই তিন নেতাকে দল থেকে শোকজ করা হয়। পরে তাঁদের তিনজনের প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নতুন আহবায়ক কমিটিতে অভিযুক্ত ওই নেতাদের কাউকে পদে রাখা হয়নি।