নিজস্ব প্রতিবেদক :::
ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাংচুরের প্রতিশোধ হিসেবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বাড়িতে আগুন দেবার পরিকল্পনা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার রাত পৌনে দশটার দিকে টেলিগ্রাম গ্রুপে ভার্চুয়াল মিটিংএ এমন পরিকল্পনার কথা জানান শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী গাজী হাফিজুর রহমান লিকু।
সুত্রমতে, সারাদেশে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেন গ্রুপে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়ার আগে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা সেখানে বক্তব্য রাখেন। রাত পৌনে দশটান টার দিকে শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী গাজী হাফিজুর রহমান লিকু বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাড়িতে আগুন দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ সারাদেশে আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলা হচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ নং ধানমন্ডির বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এমন হামলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে ধ্বংসের মুখে ফেলেছে। প্রতিরোধের অংশ হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাড়িতে আগুন দেওয়া প্রয়োজন। লুকিয়ে না থেকে সারাদেশে চোরাগোপ্তা হামলার প্রস্তুতি নেবার আহবানও জানান লিকু। ‘
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমানও ভার্চুয়াল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। তিনি আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকায় সংগঠিত হয়ে নেতাদের বাড়িতে হামলার জবাব দেবার পরামর্শ দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় টেলিগ্রাম গ্রুপটি এডমিন জনৈক মামুন আনসারী। গ্রুপ উনার আরিফিন রিজান নামের আরেক ব্যক্তি। লিকুর আগে নয়ন সরকার নামের এক ব্যক্তি বক্তব্য রাখেন। পরে জয়পুরহাটের সরদার মওদুদ ইসলাম, মনপুরা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদ মোল্লা, চরফ্যাশন পৌর ছাত্রলীগের নেতা সাখাওয়াত হোসেন শুভ, যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম ফারুক, কুমিল্লার ভিটিকান্দির চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ, আমিনপুর থানা যুবলীগের নেতা সাকিবুল আলম রিপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রুবেল চেয়ারম্যান, খাজা নেওয়াজ, নবাবগন্জের রুবেল ইসলাম গ্রুপে বক্তব্য রাখেন। লিকুর পরপরই ভার্চুয়াল মিটিংএ ডুকেন শেখ হাসিনা।
সুত্রমতে, সারাদেশের চারশোর বেশি জনপ্রতিনিধি ভার্চুয়াল মিটিংএ উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য রাখেন নব্বইজন। শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বাড়িতে আগুন দেবার প্রস্তাব করেন গাজী হাফিজুর রহমান লিকু। একাধিক সুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। গত ২৯ মে পর্যন্ত যিনি ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব; ২০১৯ সাল থেকে পালন করে আসছিলেন এই দায়িত্ব।দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞায় হাফিজুর রহমান লিকুর পাশাপাশি রয়েছে তার স্ত্রী রহিমা আক্তারের নামও।
ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক নেতা জানান, ভার্চুয়াল মিটিংএ সারাদেশের বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ ছাত্রলীগ-যুবণীগের নেতারা অংশ নেন। শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ৩২ নং ধানমন্ডির বাড়িতে হামলা- ভাংচুরের ‘সম্মেলিত প্রতিশোধ’ নেবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় মিটিংয়ে । দলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত হয়ে পাল্টা জবাব দেয়ার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ ছাত্রদের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বিএনপি -জামাত জঙ্গিগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করছে। বিয়ের আসর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের ধরে নিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বাংলাদেশকে একটি জঙ্গিবাদী- অকার্যকর রাস্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। ‘