প্রেস বিজ্ঞপ্তি ::
টঙ্গী ইজতেমার মাঠে হামলাকারী পথভ্রষ্ট সাদপন্থীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ ও তৌহিদী জনতা। আজ (১০ জানুয়ারি) শুক্রবার, বা’দ জুমা, বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেইটে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে টঙ্গী ইজতেমার মাঠে হামলাকারী পথভ্রষ্ট সাদপন্থীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে পল্টন ও সেগুনবাগিচা হালকার মুরুব্বি মুফতী জুবায়ের রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজী ও মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী।
এ সময় মাওলানা এনামুল হক মুসার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মাওলানা ফয়সাল আহমাদ, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন যাত্রাবাড়ী, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন লালবাগ, মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা জোবায়ের আহমেদ মানিকনগর, মাওলানা জিয়াউল হক মিরপুর, মুফতি জাকির হোসেন পল্টন, মুফতি আবুল হাসান কামরাঙ্গীরচর, মাওলানা কামরুল ইসলাম খিলগাঁও সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং দিবাগত রাতে টঙ্গী ইজতেমার মাঠে সাদপন্থী কর্তৃক হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদ অভিযুক্ত আসামিরা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভ্রান্ত সাদপন্থীদেরকে দেশের বিভিন্ন মসজিদে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তারা আরো বলেন, দেশের শীর্ষ আলেমদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে টঙ্গী হামলা কেন্দ্রীক সাদপন্থীদের পক্ষ থেকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা মামলা করার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সর্বপরী আমরা সরকারের নিকট টঙ্গী ইজতেমার মাঠে বারবার হামলাকারী ভ্রান্ত সাদপন্থীদের সকল ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে এবং টঙ্গী মাঠে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ মামলার আসামিদের জামিন বাতিল করে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, আগামী ৩১শে জানুয়ারি ও ১-২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং আলেম উলামাদের তত্ত্বাবধানে বিশ্ব এজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন সেই ইজতেমা সফল করার জন্য আমরা দেশের আপামর তৌহিদী জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। কাকরাইল মসজিদে তাবলীগের কাজ শুধুমাত্র শুরাই নেজামের আলেমদের তত্ত্বাবধানে পরিচালনার দাবি জানান তিনি।
তিনি কঠিন হুসিয়ারী দিয়ে আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে তাবলিগ জামাত থাকবে একটি। বিশ্ব ইজতেমাও হবে একটি। কেউ যদি দুটি করার পাঁয়তারা করে তাহলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সাদপন্থিরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়েছে। তারা রাতের আধারে তৌহিদি জনতার উপর বারবার হামলা করেছে। মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা মানুষ হত্যা করেও জামিন পেয়ে যাচ্ছে।’
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে নাঈটাঙ্গেল মোড় ঘুরে, কাকরাইল মোড় হয়ে মালিবাগে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় প্রধান অতিথি মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানীর দু’আর মাধ্যমে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।