19 C
Dhaka
Friday, January 24, 2025
More

    নির্ধারিত সময়ের আগে যাত্রী রেখে চলে গেল ট্রেন-স্টেশন মাস্টার অবরুদ্ধ 

    আরও পড়ুন

    আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :

    নির্ধারিত সময় যাত্রা বিরতি না দিয়েই নাটোর রেলস্টেশন থেকে প্রায় অর্ধশত যাত্রী রেখেই চলে যায় খুলনাগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে যাত্রীরা স্টেশন মাস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

    এ অবস্থায় পরিস্থিতি শান্ত করেন রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মীরা।

    গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা।

    যাত্রীদের অভিযোগ, চিলাহাটি থেকে নাটোর হয়ে খুলনাগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে বুধবার দিবাগত রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে নাটোর স্টেশনে এসে পৌঁছায়। এ স্টেশনে তিন মিনিটের নির্ধারিত যাত্রা বিরতির আগেই রাত ১২টায় ট্রেনটি ছেড়ে চলে যায়।

    এ অবস্থায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেনি। এছাড়াও অনেকে ট্রেন থেকে নামতেও পারেননি আবার অনেকে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নামতে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হন।

    এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন মাস্টারের কক্ষে ঢুকে তাকে অবরুদ্ধ করে সমাধানের দাবি করেন। পরে রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

    আসাদুজ্জামান নামে এক যাত্রী অভিযোগ করেন, তিনি তার পরিবার-পরিজন নিয়ে আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে খুলনা যাবেন। এজন্য ১৪টি টিকিট কেটে রাজশাহী থেকে নাটোর স্টেশনে এসেছিলেন। ট্রেনটি এক ঘণ্টা দেরিতে স্টেশনে প্রবেশ করলেও নির্ধারিত সময় পর্যন্ত যাত্রা বিরতি না করে আগেই ছেড়ে দেয়। এতে তারা তাড়াহুড়া করে উঠতে পারেননি। তার মতো অনেকেই এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন। বিষয়টি স্টেশন মাস্টারকে বলেও কোনো কাজ হয়নি।

    শিমুল, সাদেকুল ও ফারাজানা নামে যাত্রীরাও একই কথা জানান। তারা বলেন, ট্রেনটি দ্রুত ছেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক যাত্রী নামতে গিয়ে তাদের চাপে তারাও উঠতে পারেননি। অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নামতেই পারেননি। এ নিয়ে স্টেশনে ট্রেনে উঠতে না পারা যাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং স্টেশন মাস্টারকে অবরুদ্ধ করেন।

    তারা বলেন, বিকল্প যাওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় রাত ভর স্টেশনেই তাদের অবস্থান করতে হয়েছে।

    নাটোর রেলস্টেশনে দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার শামীম হোসেন জানান, এই স্টেশনে তিন মিনিট ট্রেন দাঁড়ানোর কথা থাকলেও দেড় মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। বিষয়টি কন্ট্রোল রুমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এ রুটে বিকল্প আর কোনো ট্রেন না থাকায় তিনি কিছু করতে পারেননি। তবে ট্রেনের পরিচালক বিষয়টি দেখভাল করতে পারতেন।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর