নাসরিন আকতার:
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সিন্ডিকেট এলজিইডির নিয়ন্ত্রণ করছে করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৈসম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর এলজিইডির মত একটি জন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে তাঁরই আস্থাভাজন গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথকে এলজিইডির দন্ডমুন্ডের কর্তা বানানো হয়েছে, যিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচন করে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় বসায় এবং ৫ (পাঁচ) গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পর অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই প্রাসাদ যড়যন্ত্র শুরু হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগে সচিব না থাকায় প্রশাসনের মত এলজিইডিরও ত্যাগী, যোগ্য ও সৎ কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সদস্যদের মধ্য থেকে প্রকল্প পরিচারকদের নামের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেণ যা বর্তমানে উপদেষ্ঠা মহোদয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
তম্মধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের নামের পরিবর্তে টাঙ্গাইল জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালকের জন্য শরিফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রস্তাব করা হয়েছে। এই শরিফুল ইসলাম, পাঁচ বৎসর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালনকালে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে স্থানীয় সুত্রে অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) জাতীয় গোয়েন্দা নিরাপত্তা (এনএসআই) ও স্থানীয় গোয়েন্দাদের ক্লিয়ারেন্স পূর্বক প্রকল্প পরিচালকের বিধান থাকা সত্তে¡ও বর্ণিত প্রকৌশলীদের ক্ষেত্রে গোয়েন্দা নিরাপত্তা ছাড়পত্র নেয়ার কোন প্রকার আবশ্যকতা মনে করা হয় নাই।
প্রস্তাবিত সকল প্রকল্প পরিচালকই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও কর্মী এবং বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সক্রিয় কর্মী। তারা হলেন:- (২) নারায়ন চন্দ্র সরকার, রংপুর বিভাগের ৯টি পৌরসভা উন্নয়নের প্রকল্প পরিচালকের প্রস্তাবনা; (৩)মোনায়েম সরকার, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী, মুন্সীগঞ্জ, বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে পরিচালকের প্রস্তাবনা; (৪) আব্দুল খালেক, জলবায়ূ সহিষ্ণু পরিচালকের প্রস্তাবনা; (৫) জাকির হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, কুয়েতের অর্থায়নে নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালকের প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তপুর্বক পিডি নিয়োগের অনুমোদন দিলে বীর শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।