নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া রূপালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে পড়া ডাকাত দলের তিন সদস্য অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে। এ সময় ডাকাতদের জিম্মি করা ব্যাংকটির কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতি. ডিআিইজি) খালিদুল হক হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ডাকাত দলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের আত্মসমর্পণে রাজি করানো হয়। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের কাছ থাকা তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাংকের ভেতরে থাকা জিম্মিদের মধ্যে কেউ হতাহত হননি। কোন অর্থও লোপাট হয়নি। আত্মসমর্পন করা ডাকাত সদস্যদের পুলিশ হেফাজতে থানায় নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তারা জানান, দুপুরে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া রূপালী ব্যাংকের শাখায় তিনজন ডাকাত ঢুকে পড়ে। তারা ব্যাংক কর্মকর্তা ও গ্রাহকসহ ১২ জনকে জিম্মি করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পাশের একটি মসজিদ থেকে মাইকে ব্যাংকে ডাকাতির কথা ঘোষণা করা হয়। পরে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংক ভবন ঘিরে ফেলে। এ সময় বিপুল সংখ্যক মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে নিজেদের ‘সেফ এক্সিট’(নিরাপদে চলে যাওয়া) দাবি করে ডাকাত দল। পরে আলোচনার মাধ্যমে যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে ডাকাতরা।
কর্মকর্তারা আরও জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকাত দলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের আত্মসমর্পণে রাজি করানো হয়। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা জানালা দিয়ে অস্ত্র বাইরে ফেলে দেয়। এরপর একে একে ডাকাত দলের তিন সদস্য বেড়িয়ে আসলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের হেফাজতে নেয়। পরে তাদের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডাকাত দলের সদস্যদের আত্মসমর্পনের আহ্বান জানানোর এক পর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্যরা একটি চিরকূটের মাধ্যমে নিজেদের মোবাইল ফোনের নম্বর দেয়। পরে ওই মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা ডাকাত দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হেফাজতে নেয়া তিন ডাকাত সদস্যই ১৮ থেকে ২২/২৩ বছর বয়সী যুবক। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।
এর আগে দুপুরে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাতদল ব্যাংকে প্রবেশ করে। পরে তারা ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহকদের জিম্মি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ব্যাংকটি ঘিরে রাখেন।
 খালিদুল হক হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।){kind=link}