22 C
Dhaka
Friday, January 24, 2025
More

    ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ঢাকা থেকে আখাউড়া সীমান্তে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের “লংমার্চ“

    আরও পড়ুন

    ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভারত সীমান্ত অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ‘লংমার্চ’ এর উদ্বোধন করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বেলা ১০ টার দিকে লং মার্চের এই কাফেলাটি নয়া পল্টন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভারত সীমান্ত অভিমুখে রওয়ানা হয়।

    ভারতের আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরুর আগে নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ জড়ো হন।

    সমাবেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারত রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমর্থন দিচ্ছে। ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত। অথচ ভারত গণতান্ত্রিক দেশ!

    তিনি আরও বলেন, ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার লোকেরা নিজের কথায় চলুক, এটা ভারত চায় না। দিল্লির কথায় চলতে হবে কেন? বাংলাদেশের মানুষের রক্তের তেজ, আত্মশক্তি, বীরত্ব দিল্লির শাসকেরা বুঝতে পারেননি।

    এ ল়ং মার্চ বিএনপির তিন অংগ সংগঠনের প্রোগ্রাম হলেও সারা দেশের হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে  অংশ গ্রহণ করছে বলে জানা যায়।

    জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল পক্ষ বলা হয়েছে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই লংমার্চ করছেন তারা।

    আজ বুধবার সকাল ৮টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল, শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল ৭টার পর থেকে বিএনপির তিন সংগঠনের নেতা-কর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন।

    সংগঠন তিনটির নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

    লংমার্চে থাকা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক রূহল আমীন বাবলু জানান , বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে সকাল ১০টার কিছু সময় আগে নয়াপল্টন থেকে তাঁদের লংমার্চ শুরু হয়েছে। লংমার্চের বহরে কয়েক হাজার গাড়ি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শুধু বিএনপিই নয়। এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পুরো বাংলাদশের মানুষ। তাই দলমত নির্বিশেষে সকলে এই লংমার্চে অংশ গ্রহণ করেছে।

    সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রাসেল মাহমুদ জানিয়েছেন, জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশের মানুষকে একটি প্লাটফর্মে এনে দিয়েছে। এই লং মার্চের মাধ্যমে আমরা ভারতকে জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ এ দেশের স্বার্থ রক্ষায় কারো কাছে মাথানত করেনা।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্পষ্ট বার্তা আমরা সকলের সাথে বন্ধুত্বে বিশ্বাসী, প্রভূত্বে নই। এই বার্তা পৌঁছে দেয়া লং মার্চের একটি লক্ষ।
    সেচ্ছাসেবক দলের অপর সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, গত পনের বছর হাসিনাকে ভর করে বাংলাদেশকে যেভাবে খুশি ব্যবহার করেছে। সাড়ে পনের বছর শেখ হাসিনা পরিণত ছিল ভারতের সেবাদাসী হিসেবে।
    তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে দেশ সে অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছে। আমরা এই লং মার্চের মাধ্যমে ভারতকে বার্তা দিতে চাই, বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। রক্তের দামে কেনা এ দেশ নিয়ে ভারত ভবিষ্যতে কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় সমানে সমানে এর জবাব দিবো। কোন ছাড় দেয়া হবে না।

    গতকাল মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সকাল ৮টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে উঠবে। এরপর সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাব-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব, ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে ভৈরব পৌঁছাবে লংমার্চ। এরপর ভৈরব পথসভা করে আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা দেবে।
    এদিকে লংমার্চ শুরুর আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।

    বিএনপির তিন সংগঠনের আয়োজনে আয়োজিত এই লংমার্চ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর