20 C
Dhaka
Friday, February 14, 2025
More

    প্লান্টে ছিলো অনুমোদনহীন কার্বন ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেনের সিলিন্ডার

    আরও পড়ুন

    ::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::

    সীতাকুণ্ডের সীমা রি রোলিং মিলের অক্সিজেন প্লান্টের ভেতরে অনুমোদনহীন কার্বন ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেনের সিলিন্ডার ছিলো। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের জন্য এসব সিলিন্ডার দায়ি হতে পারে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।

    শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হবার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসনের তদন্ত  দল। রবিবার বিকেলে অতিরিক্ত  জেলা প্রশাসক রাকিব হাসানের নেতৃত্ব তদন্ত দল  ঘটনাস্থলে যান।

    রোববার বিকেলে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান জানান, ‘ চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ  সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ‘অক্সিজেন’  ছাড়াও অনুমোদনহীন কার্বন ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেনের সিলিন্ডার ছিলো। এগুলো বিষ্ফোরণের জন্য দায়ি কিনা সেটি তদন্ত করে জানা যাবে৷ ‘

    তিনি আরো বলেন, ‘দুপুর বারোটার সময় আমরা তদন্ত কমিটির প্রথম মিটিং করি। সেখানে গতকাল (শনিবার) যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা পর্যালোচনা করেছি। পর্যালোচনা শেষে কমিটির সকল সদস্য নিয়ে এখন এখানে (বিস্ফোরণস্থলে) এসেছি। বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা এখান থেকে বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। আমাদের বিশেষজ্ঞ টিমের যারা আছেন তারাও সামগ্রিকভাবে পুরো বিষয়টি স্টাডি করার জন্য যা যা উপদান সংগ্রহ করা দরকার আমরা করছি। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এই অক্সিজেন প্ল্যান্টের গ্যাস সেপারেশন কোলাম যেটি, সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণের সূত্রাপাত হতে পারে। তবে এটির অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে, যেটি নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি।’

    তদন্ত কমিটি সুত্রে জানা যায়,  প্লান্ট থেকে যে কলামের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডারে ভরা হয়, সেটি বিস্ফোরিত হয়েছে। অক্সিজেন ছাড়াও কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেনের সিলিন্ডার দেখা গেছে। প্লান্টের চারটি পয়েন্টে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার ব্যবস্থা রয়েছে।সেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হয়নি।তবে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলে সেসব বিষয়ে  বিস্তারিত জানা যাবে।

    রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদ্ধারকাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কার্যক্রমে নতুন করে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। যারা নিহত হয়েছেন তাদের জন্য মালিকপক্ষ থেকে একটা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ও হতাহতদের জন্য সহায়তা কেন্দ্র এবং কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আহত রোগীদের জন্য আলাদা টিম গঠন করে তাদের যাবতীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। পাশাপাশি যারা মারা গেছেন তাদের দাফন-কাফনসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও।

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর