::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::
সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের পর আগুনএ এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আজ শনিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস দূর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারে নি।
জেলা প্রশাসন সূত্রমতে , বিস্ফোরণের এই ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, প্রথমে প্ল্যান্টে রাখা একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। পরে একে একে অন্য সিলিন্ডারগুলোও বিস্ফোরিত হতে থাকে। এতে প্ল্যান্টে আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণের আগ পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। ৩০ জনের অধিক আহত ব্যক্তিকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আহতদের খবর নিতে সন্ধ্যায় সেখানে যান জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি সাবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার সব খরচ ও ওষুধ দেওয়া হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের কদম রসুল এলাকার কেশবপুর গ্রামে অবস্থিত এই সীমা রি-রোলিং মিলের ভেতরেই বসানো হয়েছে অক্সিজেন প্লান্ট। বিস্ফোরণের ঘটনায় প্লান্টের এক কিলোমিটারব্যাপী প্রকম্পিত হয়। আশপাশের বাড়িঘর ও বেসরকারি অফিস, স্থাপনা তছনছ হয়ে যায়। মূলত এলাকাটি বিভিন্ন বেসরকারি অফিসপাড়া হিসেবে চিহ্নিত। ঘটনার পর পরই সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের নয়টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে থাকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু উদ্ধার কাজ অব্যাহত ছিল।