:::আন্তর্জাতিক ডেস্ক :::
বেলারুশের খ্যাতনামা মানবাধিকারকর্মী নোবেলজয়ী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি ও তার ৩ সহযোগীকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অর্থ দেয়ার অভিযোগে হওয়া এক মামলায় তাদেরকে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
শুক্রবার (৩ মার্চ) এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
‘ভিয়াসনা হিউম্যান রাইটস সেন্টার’ নামে একটি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বিয়ালিয়াৎস্কি। বেলারুশে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যদিয়ে আরও এক মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো।
ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয় প্রচণ্ড বিক্ষোভ। বিক্ষোভে উসকানি ও অর্থ সহায়তা দেয়ার অভিযোগ ওঠে বিয়ালিয়াৎস্কির ভিয়াসনা হিউম্যান রাইটস সেন্টারের বিরুদ্ধে।ওই অভিযোগে বিয়ালিয়াৎস্কি ও সহযোগীদের আটক করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বন্দিদের অর্থ ও আইনি সহায়তার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে বন্দি অবস্থায় গত বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন বিয়ালিয়াৎস্কি।
বিয়ালিয়াৎস্কির পাশাপাশি, রাশিয়া ও ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন- ‘রাশিয়ান হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন মেমোরিয়াল’ ও ‘ইউক্রেনিয়ান হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ’-কে ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়।
দুই বছরের বিচার প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার বিয়ালিয়াৎস্কি ও তার তিন সহযোগীকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে বিয়ালিয়াৎস্কির বিচার ও কারাদণ্ডের রায়কে ‘লজ্জাজনক’ অভিহিতি করে এর নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। নিন্দা জানিয়েছেন বেলারুশের বিরোধী নেতারাও।
দীর্ঘ দিন ধরেই রাজনৈতিক বিরোধীদের উপর লুকাশেঙ্কো সরকারের দমননীতির সমালোচক হিসেবে পরিচিত বিয়ালিয়াৎস্কি। আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন জামানাতেও মস্কোর কমিউনিস্ট নেতৃত্বের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বেলারুশবাসীর আন্দোলনে জড়িত ছিলেন তিনি।
গণতন্ত্রের দাবিতে শুরু হওয়া সেই আন্দোলনই পরবর্তী সময়ে রুশ আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরিণত হয়। সোভিয়েতের পতনের পর স্বাধীন হয় বেলারুশ। যদিও এর পর পুতিন-ঘনিষ্ট বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো একই কায়দায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের নীতি গ্রহণ করেন।