::: রাহাত আহমেদ :::
কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মচারীকে অপসারণ সংক্রান্ত ৫৪(২) বিধি বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায়ের জন্য আগামী ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ রায়ের জন্য দিন ঠিক করেন। দুদকের উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুত মো: শরীফ উদ্দিনকে গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি অপসারণ করলে তিনিও দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি ও চাকরিচ্যুতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন । পরে ১১ এপ্রিল তা শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু তখন পর্যন্ত মো: আহসান আলীর মামলায় দুদকের দুদকের রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়ায় শরীফের রিটের শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে এ মুলতবি আদেশের বিরুদ্ধে গত বছর ১৬ জুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন শরীফ।
৩ জানুয়ারি শরীফের সেই লিভ টু আপিল ও দুদকের আপিল শুনানির জন্য একসাথে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে। বৃহস্পতিবার একসাথে দুই আবেদনের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১৬ মার্চ দিন ঠিক আপিল বিভাগ।ওই রায়ের পর দুদকের কর্মকর্তা আহসান আলী ও শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতি বহাল থাকবে কি না তা জানা যাবে।
আদালতে আজ শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
২০০৮ সালের দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) বিধিতে বলা হয়েছে, এই বিধিমালায় ভিন্নরূপ যা কিছু থাকুক না কেন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ না দেখিয়ে কোনো কর্মচারীকে ৯০ দিনের নোটিশ দিয়ে অথবা ৯০ দিনের বেতন নগদ পরিশোধ করে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করতে পারবে।
এ বিষয়ে শরীফের আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া এভাবে কর্মচারী অপসারণ সংবিধানের ২৭, ২৯, ৩১ ও ১৩৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। তাই এটা থাকতে পারে না। হাইকোর্ট এটা বাতিল করেছিলেন। পরে দুদকের লিভ টু আপিলের পর আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছিলেন। এরপর রিভিউ করে আপিলের সুযোগ পায় দুদক। ‘
২০০৮ সালের দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুসারে মো. আহসান আলী নামের দুদকের এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। তিনি ৫৪ (২) বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন। সে রিটে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর এ বিধি বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। একই বিধিকে ব্যবহার করে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে আলোচিত দুদক কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিনকে।
