:::রাহাত আহমেদ :::
বিমানবন্দরের মতো স্থলেবন্দরেও যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বেনাপোল স্থলেবন্দরে এমন আধুনিক পরিসেবা চালু করা হচ্ছে। প্রথমবারের মতো কোন স্থলে বন্দরে ‘ ই গেট’ চালু করবে সরকার। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো এই স্থলবন্দরে স্থাপন করা হয়েছে ই-গেট।
জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ছয়টি গেট বসানো হয়েছে। ভারতে প্রবেশের জন্য তিনটি ও ভারত থেকে আসা যাত্রীদের জন্য তিনটি করে – ই-গেট নির্মাণ করা হয়েছে। তবে পর্যায়ক্রমে গেটের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
আগামী শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ইলেকট্রনিক গেটের উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
দেশের মধ্যে এই প্রথম যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টে স্থাপিত এই ইমিগ্রেশন সিস্টেম চালু হলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটা কমে আসবে। যাত্রীরা সহজেই গেটে পাসপোর্ট প্রদর্শন করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গেট খুলে যাবে। এতে যাত্রী প্রতি সময় লাগবে মাত্র ৪০ সেকেন্ড। বর্তমানে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন করতে কমপক্ষে ৫-১০ মিনিট সময় লাগে ।
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ই-গেট উদ্বোধনের পর বিকেল সাড়ে ৪টায় বেনাপোল ফুটবল মাঠে এক বিশাল সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় চেকপোস্টের নো ম্যান্স ল্যান্ডে ভারত-বাংলাদেশের বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ রিট্রেট অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীব জানান, দেশের প্রথম স্থলবন্দর হিসেবে বেনাপোলে প্রথম ইলেকট্রনিক গেটের উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গেটে যাত্রীরা তাদের পাসপোর্ট শো করলেই অটোমেটিক গেটটি খুলে যাবে। একজনের পাসপোর্ট আরেকজন শো করলে গেটটি খুলবে না। এতে করে যাত্রীরা আরো সহজে ইমিগ্রেশনের কাজ করতে পারবেন। মাত্র ৪০ সেকেন্ড সময় লাগবে এ কাজ করতে।
তিন বলেন, ‘বেনাপোল দিয়ে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন সাত হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করে থাকে। এই গেট উদ্বোধন হলে আমাদের কাজও সহজ হয়ে যাবে। আমরা সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় আছি।’