::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::
চট্টগ্রামে সোনা চোরাচালান মামলায় ৬ জনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে পাঁচলাইশ থানায় ১৮টি সোনার বার উদ্ধারের মামলায় এ ৬ ব্যক্তির সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। বুধবার (১ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হাটহাজারী থানার ছিপাতলী কাজীরবিল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. শাহজাহান ওরফে বাবলু (৩১), একই গ্রামের লোনী তালুকদার বাড়ির প্রয়াত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. হাসান (৪০), পূর্ব ফরহাদাবাদ গ্রামের নুর আহাম্মদ ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির প্রয়াত আব্দুস সালামের ছেলে মো. বাহাদুর (৩৬), ফটিকছড়ি থানাধীন দৌলতপুর গ্রামের ভোলা কোম্পানি বাড়ির মো. আবু তৈয়বের ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন (৩৩), একই গ্রামের আশরাফ চৌধুরী বাড়ির মাওলানা ইউছুফ আনসারীর ছেলে কায়সার বিন ইউকুফ ওরফে টুন্টু (৩৯) এবং রাউজান থানাধীন গনি পাড়ার ফজলুল হকের ছেলে শফিউল আজম (৩৫)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পিপি মো. আবদুর রশীদ জাগো নিউজকে বলেন, ২০১৬ সালের একটি সোনা চোরাচালান মামলায় ছয় জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। একই রায়ে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। রায়ের সময় চার আসামি পলাতক ছিলেন। দুই আসামি মো. বাহাদুর ও মো. হাসান উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে ৬ জুলাই নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন হিলভিউ আবাসিক এলাকা থেকে ১৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পাচঁলাইশ থানার তৎকালীন এসআই মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে স্বর্ণপাচার ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেয় পুলিশ। একই বছরের ২ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিচারকাজে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।