::: ওয়াহিদ জামান :::
সুষম উন্নয়নের পূর্বশর্ত একটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) লাইফলাইন হিসেবে বিবেচিত বাজেটের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়নের হারকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেয়া হয় । বাংলাদেশে অতীতেও এডিপির বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হয়নি, বছর শেষে এসে এডিপিতে কাটছাঁট করে সংশোধিত বরাদ্দেই সরকারের নেয়া প্রকল্পকে তুষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। ব্যতিক্রম হয় নি চলতি অর্থ বছরেও। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সক্ষমতার ভিত্তিতে আর্থিক বরাদ্দ বন্টন হয় না বলেই বাজেট পরিকল্পনায় বাঁক পরিবর্তন করতে হয়। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দের দেয়ার কথা বলা হলেও বাজেট ঘোষণার সাত মাসের মাথায় একই পথেই হাঁটছে পরিকল্পনা কমিশন। বরাদ্ধ কমানোর কারণে এবারও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পারদ ২৮ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকায় নামছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা। বাজেটে মুল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকা। সেটি সংশোধন করার পরে এই খাতে বাজেটের আকার দাঁড়াবে ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা৷
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার ছোট করে আনার সংস্কৃতি পুরোনো । প্রতি অর্থবছরেই মাঝখানে এসে এসে এডিপি সংশোধন করা হয়। এবারও এডিপিতে বাজেট কমানো হয়েছে। বৈশ্বিক মন্দার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এডিপিতে বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করার কথা বলা হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে। জানা গেছে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এই সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেয়া হতে পারে।
বছর শেষে নির্বাচন,সেই হিসেবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার ছোট করার কারণে স্থানীয় পর্যায়ে হাতে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হতে পারে ; এমন আশংকায় জন সন্তুষ্টির বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে চায়- এমন বিশ্লেষণ বিশেষজ্ঞদের। নির্বাচনকে মাথায় নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে জন সন্তুষ্টির বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। সাতমাসে প্রকল্প বাস্তবায়নের হারে ধীরগতি পরিকল্পিত হচ্ছে; সেটির কারণ পরিস্কার হলো চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) আকারে পরিবর্তন চুড়ান্ত করার মধ্যে দিয়ে।
পরিকল্পনা কমিশনের সুত্রমতে, এডিপির সংশোধনের প্রস্তাবিত খসড়া অনুযায়ী এবারের সংশোধিত এডিপিতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। সংশোধিত এডিপিতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ কমবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের। এ খাতে বরাদ্দ কমছে ৬ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে এই বিভাগের ৬৯টি প্রকল্পে ১৩ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। সেই বরাদ্দ কমিয়ে এখন ৭ হাজার ২১৮ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হচ্ছে। বরাদ্দ কমালেও তিনটি নতুন প্রকল্প যোগ করা হয়েছে।
বরাদ্দ কমার দিক থেকে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এই বিভাগের বরাদ্দ ৫ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। মূল এডিপিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ৪২টি প্রকল্পে ১৫ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এই খাতে বরাদ্দ কমলেও প্রকল্প বাড়ছে একটি।
বরাদ্দ কমানোয় তৃতীয় স্থানে আছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধিত এডিপিতে এই মন্ত্রণালয়ের ৯ প্রকল্পে ৭ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বরাদ্দ কমছে ৩ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। অথচ ইউনেসকোর পরামর্শ অনুযায়ী , শিক্ষা খাতে সরকারি ব্যয় জিডিপির ৬% এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ব্যয় ৫% থাকা উচিত। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ব্যয় জিডিপির ১ শতাংশের কম। অথচ, নিম্ন আয়ের উন্নয়নশীল দেশগুলোয় এ হার জিডিপির প্রায় ৩ শতাংশ ও উদীয়মান দেশগুলোয় জিডিপির প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশের মতো।
এদিকে, সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ বৃদ্ধির শীর্ষ তিনটি খাত হলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিশ্লেষকদের মতে বরাদ্দ বাড়ানোর শীর্ষ দুটি খাতই জনতুষ্টিমূলক। নির্বাচনের বছরে এসব খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে সব সময়ই প্রশ্ন থাকে। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুনগত মানের চেয়ে ‘জনতুষ্টি’
স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাদ্দ বেড়েছে ৪ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা। ২৩৮টি প্রকল্পে ৩৯ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জন্য এটিই সর্বোচ্চ বরাদ্দ। মূল এডিপিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য বরাদ্দ আছে ৩৫ হাজার ৩০ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার বিভাগ গ্রামগঞ্জের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করে থাকে।
বরাদ্দ বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় স্থানে আছে বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা খাত। সংশোধিত এডিপিতে এই খাতে বরাদ্দ সাড়ে তিন গুণের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। এই খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। জরুরি প্রকল্প নেয়ার জন্য এমন বরাদ্দ রেখেছে পরিকল্পনা বিভাগ। তৃতীয় স্থানে থাকা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ছে দ্বিগুণ। সংশোধিত এডিপিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়িয়ে ২ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা করা হচ্ছে।
ডলার সাশ্রয় ও খরচ কমানোর সরকারি পদক্ষেপের প্রভাব পড়েছে চলমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) কার্যক্রমে; চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে বাস্তবায়নে অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ২৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নেয়া প্রকল্পের অগ্রগতি খুবই কম। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে এডিপির মোট বরাদ্দের বিপরীতে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোতে অর্থ ব্যয়ের এ হার সবশেষ সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ২৮ শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে পেরেছিল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো। গেল সোমবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরীবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে৷
অর্থবছর | বাস্তবায়নের হার |
২০১৬-১৭ | ৩২.৪১ % |
২০১৭-১৮ | ২৭.০২ % |
২০১৮-১৯ | ২৭.৪৫ % |
২০১৯-২০ | ২৬.৫৯ % |
২০২০-২১ | ২৩. ৮৯ % |
২০২১-২২ | ২৪.০৬ % |
বাস্তবায়নে ধীরগতি প্রসঙ্গে আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মু. মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিদ্যমান অস্থিতিশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে সরকার কিছুটা ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। এজন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ, বি, সি তিনটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। এসব তালিকার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হলেও কম অগ্রাধিকার পাওয়া প্রকল্পগুলো কম বরাদ্দ পাচ্ছে।’
এ কারণেই মূলত বাস্তবায়ন কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে বলে দাবি তার।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ে সরকারি তহবিলের ব্যয় হয়েছে কম। এ সময়ে নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতি মাত্র ২৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অপরদিকে বৈদেশিক অর্থায়ন ও প্রকল্প সহায়তার খাত থেকে ৩১ দশমিক ৩৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে। জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৪৬ দশমিক ৪০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে সেতু বিভাগ। বিদ্যুৎ বিভাগ বাস্তবায়ন করেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৪৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৩৭ দশমিক ৪২ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। কিছু মন্ত্রণালয়-বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার মাত্র ১৫ শতাংশ বা তারও নিচে।
বাংলাদেশের ইতিপূর্বে পাস করা বাজেটে বাস্তবায়ন হারের তারতম্য অনেকখানি একই ধরনের। কোন অর্থবছরেই পুরো বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় নি। অর্থবছরের মাঝখানে পরিমার্জিত বাজেটও পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। গত পাঁচ বছরে মূল বাজেটের গড়ে ৮১ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের গড়ে প্রায় ৮৭ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। একই অবস্থা দেখা দিয়েছে চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন নিয়েও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজেট বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তারা জানান, সময়মতো ও সুষ্ঠু বাজেট বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ। বাজেট বাস্তবায়নে সমস্যা কোথায়-সেটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতির অনিবার্য ফল হিসেবে বছরের শেষে এসে সরকারকে অপরিকল্পিত ঋণের দায়ভার গ্রহণ করতে হয়। সেই সাথে দেশের অর্থনীতিতে আর্থিক শৃঙ্খলা নষ্ট হয়।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে অবকাঠামোগত ঘাটতি, অগ্রধিকারভিত্তিক সরকারি ব্যয় নির্ধারণে ব্যর্থতা , ঘাটতি বাজেটের আর্থিক ব্যবস্থাপনার কারণে ইতিমধ্যে বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তির অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুত ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার দেয়। আইএমএফের ঋণ সুবিধা পাবার শর্ত ছিলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে উন্নয়ন নীতি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি, কাঠামোগত সংস্কার, কর ও বাণিজ্যবিষয়ক সংস্কার, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং আর্থিক খাতের সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেবার পর মাস ঘুরতেই পরিকল্পনার নেতিবাচক দিক প্রকাশ করলো বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কাকেও আইএমএফের ঋন পাবার পর ‘ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে’ বরাদ্দ কমাতে হয়েছে। ঋণ পাবার পর একই পথ অনুসরণ করেছে বাংলাদেশও।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ব্যক্তি ঋণের প্রতিবন্ধকতা, রপ্তানি-আমদানি বাণিজ্যে সমতা আনয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সঞ্চয় বিনিয়োগের ভারসাম্য রক্ষার প্যারামিটারে এডিপি বাস্তবায়নে সক্ষমতা দেখাতে পারলেই ঘুরে দাঁড়াবে দেশের অর্থনীতি। বৈশ্বিক মন্দার এইসময়ে রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, উন্নয়ন প্রকল্পের গুণগত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হলেই ইতিবাচক ফল স্পষ্ট হবে দেশের অর্থনীতিতে ; বলছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞরা। করোনাকালে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাত হিসেবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তের নানামুখী বিশ্লেষণ করা হলেও, প্রকৃতপক্ষে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারার কারণে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে বাজেট কমানো হচ্ছে।