::: রাহাত আহমেদ :::
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ (১২৬৮) সরেজমিনে তদন্ত করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি চট্টগ্রামে আসছে শনিবার। শনিবার সকালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরন করার পর সরাসরি এয়ারপোর্ট রোড়ের কাজ পরিদর্শন করবেন তারা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সুত্রমতে, তিন সদস্যের প্রতিনিধি নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও ট্রাক টার্মিনাল প্রকল্প শীর্ষক কাজের গুনগত মান পরিদর্শন করবেন। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন যুগ্ম সচিব আল আমিন সরকার ( পরিকল্পনা অধি শাখা) উপ সচিব মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া ( পরিচালক ১), উপ সচিব পলি কর ( পরিকল্পনা -২) এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক। এই সংক্রান্ত গঠিত কমিটির আহবায়ক যুগ্ম সচিব আল আমিন সরকার ( অধি শাখা), সদস্য সচিব পলি কর, সদস্য মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া। শনিবার ও রবিবার তারা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলবেন।
চসিক সুত্রে জানা যায়, শনিবার চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল আলমের সাথে বৈঠক করবেন তারা। এছাড়া বিকাল তিনটায় প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। রবিবারও বিভিন্ন ওয়ার্ডের (ছয় জোন) সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজের গুনগত মান সরেজমিনে তদন্ত করবেন। তারা চট্টগ্রামে অবস্থান করার কথা রয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে প্রতিনিধি দলটির সদস্যদের কথা বলার পরিকল্পনা থাকলেও, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে গৃহীত ১ হাজার ২শ ৬৮ কোটি টাকার সড়ক নেটওয়ার্ক প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায় ২০১৮ সালে। একনেকে অনুমোদিত সড়ক নেটওয়ার্ক প্রকল্পটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়মানুযায়ী ২০ শতাংশ ম্যাচিং ফান্ড প্রদানের শর্ত ছিল। কিন্তু একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুন্য শতাংশ ম্যাচিং ফান্ডে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়ার অনুরোধ জানান তৎকালীন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়র নাছিরের অনুরোধে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি বরাদ্দে বাস্তবায়নের অনুমোদন দেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র রেজাউল করিমের আমলে নগরীর ওয়ার্ড এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করণের লক্ষ্যে সড়কগুলোকে ৩২২টি লটে ভাগ কাজ করা হয়েছে। অধিকাংশ কাজের গুনগত মান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম দূর্নীতির তথ্য গত দুই বছর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ১২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও বাস-ট্রাক টার্মিনাল প্রকল্পটির সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষের দিকে হলেও বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ঝুলে আছে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায়।