18 C
Dhaka
Sunday, February 16, 2025
More

    ‘আমার মুখ খোলাবেন না’ সরকারকে নজিবুল বশর ভান্ডারীর হুমকি

    আরও পড়ুন

    :::ফটিকছড়ি প্রতিনিধি :::

    নিজের ছেলেদের দুদকের মামলায় আসামী করার কারণে সরকারকে একহাত নিয়েছেন ফটিকছড়ি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য  ও তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তরিকত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এর ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলার জেরে সরকারকে রীতিমতো  হুমকি দিয়েছেন।

    সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি ) রাতে শাহসুফী সৈয়দ শফিউল বশর (ক.) মাইজভান্ডারীর খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি  ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ও দুদককে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন কটূক্তি করেন। এসময় সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির ছেলে ও দুদকের করা অর্থ আত্মসাৎ মামলার আসামী সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভাণ্ডারিও বক্তব্য রাখেন।

    নজিবুল বশর  বলেন, ‘আমার সিট আমি ঠিক করি। সরকারও জানে। কওমীর সাথে সরকারের গণ্ডগোল, আমি সরকারকে সহযোগিতা করেছি। আমি ভেসে আসি নাই। মাইজভাণ্ডারের দিকে যারাই অসৎ উদ্দেশ্যে হাত দিয়েছে তাদের হাত পু্ড়ে গেছে।’

    সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মুখ খোলাবেন না। মুখ খুললে অসুবিধা হয়ে যাবে। আমি আপনাদের সাথে (আওয়ামী লীগ) আছি, আমাকে সাইজ করার চেষ্টা করলে নিজেরাই সাইজ হয়ে যাবেন।’

    দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি দুদকের বিরুদ্ধে রিট করবো। দুদকের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করবো। কারণ আমরা পরিস্কার। আমি এবং আমার ছেলের জন্য মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ কলঙ্কিত  হবে তার চেয়ে মরে যাওয়ায় ভালো। দুদক মাইজভাণ্ডার ও তরিকত বিরোধীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।  ৩৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে টাকা জমা দিয়ে দিলে কী আর টাকা আত্নসাত থাকে? ওই মামলায় ৬৫ কোটি টাকা যা জমা হয়েছে দুদক তা গোপন করেছে। দুদক নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারিকে চিনে নাই।’

    জানা যায়, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে সাংসদ হয়েছিলেন। দলবদল করে তিনি ২০০১ সালে বিএনপির টিকিটে হেরে যান। পরে বিএনপি ছেড়ে তিনি আবার গঠন করেন তরিকত ফেডারেশন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক তরিকত ফেডারেশন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালেও একইভাবে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। বারবার মাইজভান্ডার শরীফের অনুসারীদের দোহায় নিয়ে নৌকার মাঝি হয়ে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। নৌকার টিকিটে নির্বাচিত এই সাংসদ এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকেই হুমকি দিয়েছেন।

    সরকারের সাথে তাঁর কোনও বিরোধ নেই উল্লেখ করে নজিবুল বশর বলেন, ‘আমি ১৪ দলীয় জোটে আছি এবং থাকবো। ওরা এখনও নজিবুল বশর কী তা চিনে নাই। আমার জন্য অনেক কথা বলবে। বিএনপিকে ঘরে ঢুকানো সম্ভব, কিন্তু নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি না।’

    এদিকে,  নৌকার টিকেটে নির্বাচিত নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ফটিকছড়ির সবখানে একই আলোচনা – সরকারকে গুনেন না ভান্ডারী।

     

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর