আদিত্য আরাফাত ||
জাতীয় সংসদে খালেদার রাজনীতি করতে না পারার শর্তে মুক্ত হয়েছেন শেখ সেলিমের দেয়া এমন বক্তব্যের বিপরীত তথ্য দিয়ে বোমা ফাটিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রাজধানীর ইন্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউটে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আনিসুল হক বলেন, বিশেষ বিবেচনায় সাজার রায় স্থগিত করা খালেদা জিয়া রাজনীতি সাথে জড়িত থাকতে পারবেন না এমন কোন শর্ত ছিলো না। তবে তিনি যেহেতু দন্ডপ্রাপ্ত আসামী সে কারণে সংবিধান অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না- এমন মুচলেকার কথা নির্বাহী আদেশে মুক্তির আবেদনে ছিল না বলে জানান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
এর আগে, গত ২৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম দাবি করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না, এমন মুচলেকা দেয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে তাকে বাসায় নেয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ সেলিম এ দাবি করেন।
আনিসুল হক বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি সংসদে একজন সংসদ সদস্য যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা একদম ভুল না। তবে, আমার যতদূর মনে পড়ে, এমন কথা ছিল না।
দেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, যদি নৈতিক স্খলনের দায়ে কেউ দুই বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে তিনি সাজা ভোগের পর পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’
যদিও খালেদা জিয়ার মুচলেকার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংসদ শেখ সেলিমের দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শেষ পর্যন্ত আইনমন্ত্রী বিষয়টি পরিস্কার করেছেন তার বক্তব্যে। চলতি মাসে ৬ ফেব্রুয়ারী আইনমন্ত্রী একই ধরনের বক্তব্য দেন। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পুনরায় খালেদা জিয়ার রাজনীতি না করার বিষয়টি নির্বাহী আদেশে ছিলো না, এমন বক্তব্য দিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।