কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
নিষ্ঠুরতার হাত থেকে বাঁচেনি আট মাস বয়সী শিশু অনামিকা। পিতার হাতেই জীবন দিয়েছে অবুঝ এই শিশু। ১৬ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজারের হোটেল আলিফ থেকে মা মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার চল্লিশ ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত জেবিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যে রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে। হোটেল কক্ষে স্ত্রী সোমা দেকে (৩৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী জেবিন দেব। পুলিশের হাতে জেবিন গ্রেপ্তার হবার পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছে সে।
জানা যায়, পরিকল্পিতভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী ও তিন মেয়ে সন্তান নিয়ে কক্সবাজার সৈকতের কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্টের সি আলিফ হোটেলে ওঠেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার জেবিন দেব (৪০)। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৬ ফেব্রুয়ারি হোটেল কক্ষে প্রথমে স্ত্রী সোমা দেকে (৩৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। এরপর হোটেলের বাথরুমের বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন আট মাস বয়সী মেয়ে শিশু অনামিকা দেবকে।
গ্রেপ্তারের পর কক্সবাজারের পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড নিয়ে এসব তথ্য দিয়েছেন জেবিন দেব। তিনি বাঁশখালীর বৈলগাঁও বানীগ্রামের দুলাল দেবের ছেলে। এ বিষয়ে শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।
হত্যাকারী নিজের দোষ স্বীকার করেছে। তবে আটমাস বয়সী নিজের কণ্যা শিশু ও স্ত্রীকে হত্যার কারণ জানা যায় নি।