মোহাম্মদ রিয়াদ হোসেন; আনোয়ারা ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
বসন্তের ছোঁয়ায় মেতেছে প্রাণ। শীতের শুষ্কতা মুছে দখিন হাওয়ায় ভর করে এসেছে বসন্ত। প্রকৃতি তাই উদ্বেলিত নবযৌবনের নবরূপ পাওয়ার আশায়।বসন্তের এই আগমনীতে ফুটেছে হরেকরকম ফুল। মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের অপরূপ দৃশ্য।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার উপজেলা
চাতরী ইউনিয়ন সিংহরা গ্রামে একসময়ের পতিত জমিতে এখন পাশে শোভা পাচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। সূর্যমুখী ফুলের হাসি নির্মল এক শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় চোখে। অনিন্দ্যসুন্দর ফুলের বাগান দেখতে আর সূর্যমুখীর রাজ্যে আসছেন বিভিন্ন বয়সী সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ।
জানা গেছে, আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়ন সিংহরা কালা গাজি সড়কের পাশে পরিত্যক্ত জমিতে প্রবাস ফেরত মোঃ জমির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি প্রথমবারের মতো এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন।
মোঃ জমির উদ্দিন জানান, আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। প্রবাসের থেকে আসার পর কৃষি অফিসার থেকে সূর্যমুখী আবাদ করার প্রস্থাব দেওয়া হয়।বিদেশে থাকার অবস্থায় সূর্যমুখী চাষের কিছুটা আইডিয়া ছিল। আমি প্রস্থাবে রাজি হয়ে গেলাম। আমার ৩৩ শতক জমিতে ৬৭ কেজি সার এবং হাইসান ৩৩ জাতে বীজ পেয়ে জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। সূর্যমুখী চাষে আমার মোট ১৭/১৮ হাজার টাকা মতো খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় সব গাছে ফুল ফুটেছে। আর মাসখানেকের মধ্যে সূর্যমুখী ফুল থেকে ফল পাওয়া যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সূর্যমুখী ফুল থেকে আমি আর্থিকভাবে লাভবান হবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার রমজান আলী জানান, কৃষকদের সরকারি প্রণোদনায় সূর্যমুখী বীজ ও সার এবং নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর প্রকল্পের আওতায় সার, বীজ, বালাইনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ সহায়ক হিসেবে দেয়া হয়েছে।দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর তেল নিশ্চিতে এ তেল ফসলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী ফুল থেকে উৎপাদিত তেলে ৪০ ভাগ লিনোলিক এসিড থাকে যা হার্টের জন্য অত্যন্ত ভালো। এছাড়া এতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ সয়াবিন থেকে কম। এ ফুল থেকে তেল উৎপাদন করতে পারলে দেশের মানুষের ভোজ্য তেলের যে চাহিদা তা এই সূর্যমুখী চাষের মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব এবং মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত তেল খেতে পারবে। এ ফসল চাষে চাষি লাভবান হবেন বলেও আশা করেন তিনি।