নেওয়াজ তুহিন :::
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানীর উপর বহিরাগতদের হামলায় চসিকে কর্মরত কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দেবার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারী (রবিবার) মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চসিকে প্রেরণ করা চিঠিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপত্তা দিতে প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানীর উপর হামলার ঘটনায় করা মামলার অগ্রগতি এবং অধিকতর নিরাপত্তা দিতে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার কথা বলা হয়েছে।
চসিকের আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানীর উপর হামলার দুই সপ্তাহ গত হলেও; এই বিষয়ে করা তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারে নি। আটক চার ঠিকাদার জিঙ্গেসাবাদে হামলার ঘটনার নেপথ্য থাকা চসিকের চারজন প্রকৌশলী সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের চিঠি দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সেই সব দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের একটি সুত্র জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ঠিকাদার সাহাবুদ্দিন জিজ্ঞেসাবাদে প্রকল্প পরিচালকের উপর হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে বেশ কিছু স্পর্শকাতর তথ্য দিয়েছেন। ঠিকাদার সাহাবুদ্দিন হামলার ঘটনার সাথে চসিকের প্রকৌশল ও বিদ্যুৎ উপ বিভাগের চার কর্মকর্তার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। সেসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
সুত্রমতে, লটারী না করে ১২ টি কাজ কমিশনের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিলো। কিন্তু সেসব কাজের কার্যাদেশ দিতে প্রকল্প পরিচালক রাজি হন নি। পরে উপ প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন চসিকের পক্ষ কার্যাদেশ প্রদান করেন। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক সেসব কাজের কার্যাদেশের বিষয়ে দায়িত্ব নিতে রাজি না হবার কারণে তার উপর প্রকৌশলীদের ইন্দনে হামলা করা হয়েছে। শুরুতে হামলার ঘটনাকে কাজ না পাওয়া ঠিকাদারদের বিক্ষোভ বলে চালিয়ে দিতে চায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের শীর্ষকর্তারা। এই ঘটনার একমাস আগে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল আলমকে নাজেহাল করেন চসিকের অস্থায়ী কর্মচারীরা। সেই ঘটনায়ও একই চক্রের ইন্দন ছিলো বলে দাবি করেছেন চসিকের একাধিক সুত্র।
প্রসঙ্গত, গত মাসে ২৮ তারিখ বিকেলে টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের ৪ তলায় ২০-৩০ জনের একটি দল প্রকল্প পরিচালক ইয়াজদানীর কক্ষে প্রবেশ করে ও তাকে মারধর করে। এসময় হামলাকারীরা প্রকল্প পরিচালকের টেবিল ও নামফলক ভেঙে ফেলে। এই ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন তিনি সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করা ঘোষণা দিলেও, নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি কমিটি।