20 C
Dhaka
Friday, February 14, 2025
More

    বিদেশি মোড়কে দেশি গুঁড়োদুধ, কারখানা সিলগালা

    আরও পড়ুন

    নিজস্ব প্রতিবেদক :::

    নগরীর আকবর শাহ থানার উত্তর কাট্টলি এলাকায় সিটি গেইটের পাশে এনজিএস ফুড প্রোডাক্টস নামক কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানাটি সিলগালা করে দিয়েছে  জেলা প্রশাসন। প্রতিষ্ঠানটি আমদানি করা পণ্য বলে স্থানীয় গুঁড়ো দুধ বাজারজাত করে আসছিল।

    সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারী)    দুপুর ১টা থাকে সন্ধ্যা ৫:৩০টা অবধি এই কারখানায়  যৌথ অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় সাথে ছিলেন বিএসটিআইয়ের মো: মাহফুজুর রহমান, ফিল্ড অফিসার (সিএম), মো: জিল্লুর রহমান, পরিদর্শক (মেট্রোলজি), মো: আব্দুর রহিম, ফিল্ড অফিসার (সিএম) ও আকবর শাহ থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য।

    দীর্ঘ অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিশ্চিত হয় যে এনজিএস মিল্ক সরাসরি কোন দুধ বিদেশ থেকে আমদানি করেনা, যদিও তাদের প্যাকেটের গায়ে লেখা নিউজিল্যান্ডের প্রোডাক্ট। এখানে মুলত ডানো ব্রান্ডের গুড়ো দুধের ব্যবহৃত প্যাকেট পুনরায় ব্যবহার করে কিছু ভেজাল গুড়ো দুধ ও সামা মিল্ক নামের মোড়কে আটা মেশানো গুড় দুধ এবং হুই(whey) নামক আরেকটা পন্য একসাথে মিশিয়ে এনজিএস ফুল মিল্ক এবং ফেয়ারলাইফ মিল্ক পাউডার নামে দুধ মোড়কজাত করে বাজারে বিক্রি করত।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ২ প্রকার গুড়ো দুধের মধ্যে ফুল ক্রিম মিল্কের সিএম লাইসেন্স থাকলেও সরেজমিনে দেখা যায় সিএম লাইসেন্স এর সকল শর্ত তারা লঙ্ঘন করেছে এবং প্যাকেটজাত লাইসেন্স নেই।অন্য দিকে ফেয়ারলাইফ মিল্ক পাউডারের সিএম লাইসেন্স এবং মোড়কজাতকরণের লাইসেন্স কোনটাই নেই। নিয়মিত কোন কেমিস্ট নেই ওখানে। একজনের তথ্য দিয়েছে যেটা তদন্ত করে ভুল প্রমানিত হয়েছে। মিল্ক পাউডারের কোন মোড়কজাত পন্য বাজারে নিজ নামে বিক্রি করতে হলে যেখানে তাকে নিজ নামে গুড়ো দুধ আমদানি করে তারপর প্যাকেট করার নিয়ম সেখানে এত এত ভেজাল গুড়ো দুধ এনে প্যাকেট করে বাজারে বিক্রি করছে যা অন্যতম শিশু খাদ্য। ভেজাল গুড়ো দুধের ২৫ কেজির বস্থা ১৫০০টির অধিক বিএসটিআই প্রতিনিধি দ্বারা ঐ প্রতিষ্ঠানের গুদামে সিলগালা করে রাখা হয়েছে এবং প্রত্যেকটি পন্যের নমুনা অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বিএসটিআই ল্যাবে পাঠানো হয়। ‘

    ল্যাব রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়া ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করার অপরাধের দায়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  সাগর দে’ কে ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড এবং ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর