খুলনা প্রতিনিধি :
দেশব্যাপী আলোচিত রহিমা বেগম অপহরণ মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে পিবিআই। প্রায় ছয়মাস তদন্ত শেষে আজ সকালে মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
জমির বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মাকে ‘অপহরণের নাটক’ সাজানোর নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে খুলনার আলোচিত মরিয়ম মান্নানের বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে পিবিআই।পাশাপাশি সহযোগিতার অভিযোগে মা রহিমা বেগম ও ছোট বোন আদুরী বেগমের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় খুলনা পিবিআইয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে নিজের মাকে আত্মগোপনে পাঠিয়ে অপহরণ ঘটনা সাজান মরিয়ম মান্নান।
তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ জানায়, বাদীর আর্জিতে বর্ণিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সমর্থনে উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মিথ্যা মামলা দায়ের করা এবং দায়ের করানোর অপরাধে তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আজ সকালে মহানগর হাকিম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট নগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন- এ অভিযোগ তুলে ২৮আগস্ট তার মেয়ে আদরী খাতুন বাদী হয়ে পরদিন দৌলতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ মামলা করে। ঘটনার ২৯ দিন পরে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে রহিমাকে উদ্ধার করে পুলিশ।