22 C
Dhaka
Thursday, February 13, 2025
More

    ভূমিকম্পের ছয় দিন পর জীবিত উদ্ধার হলো কিশোরী

    আরও পড়ুন

    নিজস্ব প্রতিবেদক ::

    ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালি ভূমিকম্পের ১৩৫ ঘন্টা পার হলেও তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। দুই দেশে এখনও পর্যন্ত ২৯ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়েছে এই ধ্বংসযজ্ঞের পুরো চিত্র এখনো পরিষ্কার না। জাতিসংঘের ত্রাণ এবং পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস দাবি করেন, উদ্ধার অভিযান শেষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে দ্বিগুণ।

    এরইমধ্যে উদ্ধারকারীরা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের হাতায় শহরের ধ্বংসস্তূপে ১৩৯ ঘণ্টা আটকে থাকার পর সাত মাস বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছে। হাতায়ের আরেকটি জায়গা থেকে কুডি নামের এক ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে ১৪৭ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারের পর উদ্ধারকারীরা কুডিকে বলেন, তুমি একটা অলৌকিক বিষয়।

    এদিকে গত সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় এ পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহত মানুষের মধ্যে বেশি বিপর্যস্ত তুরস্কে মারা গেছেন ২৪ হাজার ৬১৭ জন। আর সিরিয়ায় সাড়ে চার হাজার।

    তীব্র ঠান্ডাসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এখনো অনেককেই ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে যত দেহ চাপা পড়ে আছে, তা উদ্ধার করা গেলে মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলতে পারে ৫০ হাজার।

    আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত তুরস্কে ২৪ হাজার ৬১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ায় উদ্ধার হয়েছে ৪ হাজার ৫০০টি মরদেহ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কমপক্ষে ৩০ হাজার উদ্ধারকারীরা। ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে প্রাণের সাড়া পেলেই ছুটছেন সদলবলে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হতাশ হতে হচ্ছে তাদের।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর