আল আমিন,নাটোর প্রতিনিধি:-
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে রাজশাহীর তানোর থেকে নাটোরে এনে গণধর্ষণ করেছে বখাটেরা। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত এই গণধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মুল অভিযুক্ত এখনো পলাতক রয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ জানান, রাজশাহীর তানোর থানার ঝিনাইখো উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাটোর নিয়ে আসে সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের কালাম উদ্দিনের ছেলে তামিম আহমেদ নামে এক যুবক।
এরপর, দিনের বেলায় বিভিন্ন স্থান ঘুড়িয়ে রাতে মেয়েটিকে একটি কলাবাগানের ভিতর নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সকালে তামিম তার বন্ধুর কাছে মেয়েটিকে দিয়ে চলে যায়। এরপর ওই ছেলেও ছাত্রীটিকে একটি বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর বেলা ১১ টার দিকে মেয়েটিকে শহরের বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড়ে রাজশাহীগামী বাসে তুলে দেওয়ার জন্য ওই ছাত্রীকে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। এ সময় অস্বাভাবিক আচরণ দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয় তারা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায় ঐ যুবক। পরে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত শুনে তার বাবাকে খবর দেয় এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। পরে মেয়েটির বাবা সহ পরিবারের সদস্যরা থানায় আসেন এবং তামিম,আব্দুল মজিদ ও সিরাজুল ইসলামের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো দুইজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করে। এদিকে পুলিশ আব্দুল মজিদ ও সিরাজুলকে গ্রেফতার করতে পারলেও মুল অভিযুক্ত তামিমকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।