22 C
Dhaka
Friday, February 14, 2025
More

    চবিতে সাংবাদিক হেনস্তা ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে

    আরও পড়ুন

    চবি প্রতিনিধি ::

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এসময় শিক্ষার্থীদের ব্যানার ফেস্টুন কেড়ে নেন তারা। ঘটনাটির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করাকালে কর্মরত সাংবাদিকদেরও হেনস্তা করে ছাত্রলীগ।
    বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেয় চারুকলার শিক্ষার্থীরা। এরপর সাড়ে ১০টায় বাংলার মুখ এবং ভিএক্স’র নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের বাধা প্রদান করেন। এসময় ব্যানার ফেস্টুন কেড়ে নেন ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের চড়-থাপ্পড় মারেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় বাধার মুখে ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর আন্দোলনকারীরা পরে জিরো পয়েন্টে (স্মরণ চত্বর) এসে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।

    এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আকতার, আরটিভির ফটো সাংবাদিক এমরাউল কায়েস মিঠুসহ বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী ছাত্রলীগ নেতাক্রর্মীদের হাতে হেনস্তার শিকার হন।

    দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আকতার বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা যখন আন্দোলনকারীদের বাধা দিচ্ছিল তখন পেশাগত দায়িত্ব হিসেবে তার ফুটেজ নিচ্ছিলাম। এসময় ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতাকর্মীরা এসে আমাকে আটকায় এবং ভিডিও ডিলিট করার জন্য জোর করতে থাকে। আমি ডিলিট করতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে নিরাপত্তাজনিত হুমকি প্রদান করে।

    আন্দোলনকারী চারুকলার ১৮-১৯ সেশনের ছাত্রী পায়েল দে বলেন, আজ আমাদের আন্দোলনের শততম দিন। বিগত দিনের মতো আজকেও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছিলাম। হঠাৎ করে একদল লোক এসে আমাদের থেকে ব্যানার, ফেস্টুন কেড়ে নেয় এবং আমাদের আন্দোলন বন্ধের জন্য হুমকি দিয়ে শহীদ মিনার চত্বর থেকে বের করে দেয়। আমি মনে করি তারা প্রশাসনের মদদে এটা করেছে। আজকে সেই শিক্ষক, প্রশাসন কোথায়- যারা বলে শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো? আজকে আমরা লাঞ্ছিত, মার খাচ্ছি তারপরও প্রশাসনের কোন ধরনের সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নেই।

    শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ভিএক্স গ্রুপের নেতা মারুফ আহমেদ বলেন, চারুকলার আন্দোলনে আমাদের কিছু ছেলে অংশগ্রহণ করেছিল। আমরা তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য ওখানে গিয়েছিলাম। আমাদের ছেলেদের বাইরে আমরা কাউকে কোনো প্রকার বাধা দেইনি।

    সাংবাদিক হেনস্তার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সাংবাদিককে প্রথমে সাধারণ শিক্ষার্থী মনে করেছিলাম। তাই ভিডিও ডিলিট করতে বলি। কিন্তু তিনি যখন সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছেন তখন আমরা আর কিছু বলিনি।

    প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, মিটিং থাকায় ব্যস্ত ছিলাম। বিষয়টি আমরা দেখছি।

    গত বছরের ২ নভেম্বর থেকে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ২২ দাবিতে ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। শুরুতে তাদের আন্দোলন ইনস্টিটিউটের সংস্কার দাবিতে শুরু হলেও পরবর্তীতে তারা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের এক দফা দাবি জানাতে থাকেন। টানা ৮২ দিন আন্দোলনের পর গত ২৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরলেও ৭ দিনের আল্টিমেটাম শেষে ৩১ জানুয়ারি থেকে আবারও ক্লাস বর্জন করে ইনস্টিটিউট অবরোধ করে তারা আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। এর মধ্যে ২ ফেব্রুয়ারি চারুকলা ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে মূল ক্যাম্পাসে আন্দোলন করতে থাকে শিক্ষার্থীরা।

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর