খান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ::
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ফ্যাসিস্ট এই সরকার লুটপাট করে সবকিছু ধংস করে ফেলেছে। দেশের অর্থনীতি, জনগণের ভোট, সুশাসন কোন কিছুই পুনরুদ্ধার করা যাবে না এই সরকারকে নামাতে না পারলে৷
বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা: ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধারের জন্য বিএনপির ২৭ দফা। সরকার পতন আন্দোলনের ১০ দফাও রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফার ভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে। এগুলো আন্দোলনের অংশ। বর্তমান সরকারকে বিদায়ের পর আগামীর বাংলাদেশে যা হবে তার সবই রয়েছে বিএনপির ২৭ দফায়।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখা এই আলোচনা সভা আয়োজন করে।
সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত ২৭ দফায় রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিভিন্ন দুর্বলতা চিহ্নিত করে তা নিরসনের দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংসদে উচ্ কক্ষ প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের গুণীজন, বুদ্ধিজীবী এবং পেশাজীবীদের দেশ পরিচালনায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, বিএনপির দাবি মেনে পরপর দুবার কেউ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য থাকবে। তারেক রহমান ছাড়া দেশের অন্য কোনো রাজনীতিক এই ধরনের ঘোষণা দেওয়ার সৎ সাহস দেখান নাই।
বিএনপির ২৭ দফা দেশের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সভায় উপস্থিত বিভিন্ন পেশার লোকজনের প্রতি আহ্বান জানান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামত ইস্যুতে ইতিমধ্যে জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকারের পতনের উদ্দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট বিএনপির পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক জাহিদুল করিমের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সদস্যসচিব খুরশীদ জামিলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেম, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, অধ্যাপক নসরুল কদির প্রমুখ।