20 C
Dhaka
Friday, February 14, 2025
More

    ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সতের হাজার

    আরও পড়ুন

    ডেস্ক রিপোর্ট ::

    ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। সময়ের সঙ্গে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। ইতোমধ্যে দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে।

    বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে

    তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

    অন্যদিকে সিরিয়ার বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী দল হোয়াইট হেলমটেস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সিরিয়ায় ৩ হাজার ১৬২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে ১ হাজার ৯০০ জন।

    এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, মানবিক সংস্থাগুলোর সামনে এখন তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ আসছে।

    বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ইনসিডেন্ট রেসপন্স ম্যানেজার রবার্ট হলডেন বলেন, এখন হাজার হাজার মানুষ খোলা জায়গায়, খারাপ ও ভয়াবহ অবস্থায় বেঁচে আছে। যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিতসহ পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নেই।

    হলডেন আরো বলেন, আমরা সেকেন্ডারি বিপর্যয় মুখে পড়ার প্রকৃত ঝুঁকিতে আছি। আমরা অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা যে গতিতে চালিয়েছি সেই একই গতিতে এগিয়ে না এলে, ভূমিকম্পে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে অধিক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

    তিনি বলেন, এটা সহজ কোনো কাজ নয়, এই কাজের মাত্রা ব্যাপক।

    ভূমিকম্পের পর তুরস্ক-সিরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে উদ্ধারকারী দলসহ মানবিক সহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ, ইইউ, ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, জাপান, ইরাক, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, গ্রিস, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।

    যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর