আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি বলেছেন, সকল ধর্মের বানী হচ্ছে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। শান্তি প্রতিষ্ঠা আমরাও চাই তবে তার জন্য আমরা ধর্ম প্রচারে কতটুকু কাজ করতেছি। মুসলমানদের কাছে যিনি আল্লাহ তিনিই হিন্দুদের কাছে ভগবান, অন্য ধর্মলম্বীদের কাছে তিনিই ইশ্বর। যিনি বিশ্বকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই ইশ্বর তিনিই সৃষ্টিকর্তা।
তিনি আরো বলেন, জনপ্রতিনিধিদের কোনো জাত নেই। তারা ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলের অভিভাবক। তাই জনপ্রতিনিধিদের উচিত সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আনোয়ারা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পুনঃনির্মিত তালসরা আনন্দরাম বিহার উৎসর্গ ও ধর্মদূত জিনরতন স্থবিরের ‘মহাস্থবির’ বরণোৎসবের দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বৌদ্ধ ধর্মলম্বীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “কর্মই ধর্ম” তবে এখন আমরা কাজ না করের ভ্রান্তদের উপহার দিয়ে কাজ হাসিল করার চেষ্টায় থাকি। এদিকে মুসলমানরা জুমা’র দিন জুমার নামাজে যাওয়ার সময় ছোটো বাচ্চাদেরও মসজিদে নিয়ে যায়। ছোটো থেকে তারা ধর্ম চর্চা শেখায়। তবে বৌদ্ধরা বিহারে যাওয়ার সময় তাদের ছোটো ছেলেমেয়েদের ঝামেলার কারণে ঘরে রেখে যায়। আমাদের এসব অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। ছোটো থেকেই সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষায় উৎসাহিত করতে হবে।
এসময় তিনি অসাম্প্রদায়িকতার বিষয় উল্লেখ করে বলেন, অসম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে রোল মডেল। সকল ধর্মই শান্তির কথা বলে। তাই সকলের উচিত নিজ ধর্মে ফিরে আসা।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক প্রজ্ঞাসারথী প্রজ্ঞানন্দ মহাথের এবং প্রধান ধর্মদেশক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভদন্ত জিনানন্দ মহাথের।
তালসরা আনন্দরাম বিহারসংলগ্ন মাঠে দুই দিনব্যাপী বৌদ্ধ মহাসম্মেলনের প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপ সংঘরাজ শাসনভাস্কর শাসনপ্রিয় মহাথেরর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ারা উপজেলার নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক ইমন, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান, পরৈকোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল হক বাবুল। শীলরক্ষিত মহাস্থবির, বোধিরতন মহাথেরো, জ্ঞানরক্ষিত মহাথেরোসহ দুই দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।