নাদিরা শিমু, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবারের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাসের হার ৮০ দশমিক ৫০। আগের বছর যা ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ ছিল।এরমধ্যে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৫৬৪, ছাত্রী ৭ হাজার ১০৬। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায় এবার জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও কমেছে।গতবছর ১৩ হাজার ৭২০ জন পূর্ণ জিপিএ (৫ এ ৫) পেয়েছিল।
আজ বুধবার বেলা একটায় নগরের ষোলোশহর এলাকায় অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মিলনায়তনে এ ফলাফল প্রকাশ করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯৩ হাজার ৯৯৭ জন। এর মধ্যে উপস্থিত পরীক্ষার্থী ৯১ হাজার ৯৬০। পাস করেছেন ৭৪ হাজার ৩২ জন। উপস্থিত ছাত্রীর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫৪০, ছাত্র ৪৪ হাজার ৪২০। ছাত্রীর পাসের হার ৮২ দশমিক ৯২, ছাত্র পাসের হার ৭৭ দশমিক ৯২। এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন ১২ হাজার ৯৩৯ জন।
এবার ২৬৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় গত বছরের ৬ নভেম্বর সারা দেশে স্বাভাবিক পরিবেশে শুরু হয়েছিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। চট্টগ্রামে মোট ১১১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়। চট্টগ্রাম জেলা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ জানান, এবার বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯১ দশমিক ৩০, মানবিকে ৭৩ দশমিক ০৩, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৮৩ দশমিক ৮৩। চট্টগ্রাম নগরের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৪৮। নগর বাদে চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৮২ দশমিক ৭১। অন্যদিকে কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৯২।
দেশের নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯০ দশমিক ৭২ শতাংশ পাসের হার নিয়ে এগিয়ে রয়েছে কুমিল্লা বোর্ড। চট্টগ্রাম বোর্ডের অবস্থান ষষ্ঠ স্থানে। সব বোর্ড মিলিয়ে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। মহামহারীর কারণে গতবছর তিনটি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছিল। সার্বিকভাবে সব বোর্ডেই ফলাফল ভালো হয়েছিল। এবার ফলাফল ততটা ভালো না হওয়ার ক্ষেত্রে এ বিষয়টিকে কারণ হিসেবে দেখাচ্ছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।