নেওয়াজ তুহিন ::
চট্টগ্রাম শহরের ৪৬৬ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে স্মার্ট এলইডি বাতি স্থাপনের স্বপ্ন দেখিয়ে মহা লুটপাটের ছক এঁকেছিলেন নানা অনিয়ম দূর্নীতির কারণে আলোচিত চসিকের বিদ্যুৎ উপ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ। একনেকে ২৬০ কোটি টাকার স্মার্ট এলইডি প্রকল্প অনুমোদনের পর প্রকল্পটির তিনটি বাড়ানো মেয়াদ শেষ হয়েছে ; কিন্তু দরপত্র প্রক্রিয়াই শেষ করতে পারে নি চসিক। নেপথ্যে কালোতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প পরিচালকের নিজের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেবার কূটকৌশল।
মর্ডানাইজেশন অব সিটি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম এট ডিফারেন্ট আন্ডার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন’ শীর্ষক ২৬০ কোটি টাকার এলইডি প্রকল্পের কাজ শুরুর কথা আড়াই বছর আগে। নির্ধারিত সময়ে কাজই শুরু হয়নি দরপত্র প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়ম ও অসঙ্গতির কারনে ।
গেল বছরে গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে ভারতীয় নমনীয় ঋন সুবিধার এই প্রকল্পের দরপত্রে অনিয়ম, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত ডিপিপি পরিবর্তন করে নিম্মমানের চায়না এলইডি বাতির ব্রান্ড সংযোজন, দরপত্রের সিডিউলসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েব, এমনকি দরপত্র মুল্যায়নের নামে হরিলুটের নাটক মঞ্চস্থ করার খবর। ছয়মাস বিরতি দিয়ে পুরোনো পথেই হাঁটা শুরু করেছেন প্রকল্পটির পরিচালক ঝুলন কুমার দাশ। ৭ই ফেব্রুয়ারী দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাবনা খোলার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছেন নিজে নিজেই। আগের দিনও মুল্যায়ন কমিটির কোন সদস্যকে আর্থিক প্রস্তাবনা খোলার বিষয়ে জানান নি কিছুই।
চসিক সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী , চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়কে আলোকায়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয় ২০১৮ সালে। প্রায় ২৬০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ৯ জুলাই জাতীয় একনেক বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়। শুরুতে এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় জানুয়ারি ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। নানা অজুহাতে প্রকল্পের সংশোধিত বাস্তবায়নকাল এক বছর বাড়িয়ে ধরা হয় জুন ২০২২ পর্যন্ত। সেই সংশোধিত মেয়াদও শেষ হয় ; কিন্তু প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগ চুড়ান্ত করতে পারেন নি চসিক। নতুন করে আরো এক বছর সময় বাড়ানোর আবেদন করে এই প্রকল্পের ভাগ্য ফেরানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক গোলাম ইয়াজদানির উপর হামলার ডামাডোলের মধ্যেই ইন্ডিয়ান এলওসি প্রকল্পের দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাবনা খোলার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন ঝুলন কুমার দাশ। যদিও এরআগে ডিপিপি পরিবর্তনসহ নানা অনিয়ম ও অসঙ্গতির কারণে পিপিআর বিশেষজ্ঞ গোলাম ইয়াজদানি প্রকল্পটির রি টেন্ডারের সুপারিশ করেছিলেন।এলজিআরডির বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানী গত বছরের ২৮ মার্চ এই দরপত্রের নানা অসংগতির কথা তুলে ধরে এই প্রকল্পের পুনঃ দরপত্র আহ্বানের পরামর্শ দেন৷ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে চসিকে যোগ দেবার আগে ইন্ডিয়ান এলওসি নিয়ে এমন সুপারিশের কারণে দুর্নীতিবাজ চক্রের বিরাগভাজন হয়েছিলেন প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানি। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারী) এলইডি প্রকল্পের দরপত্র মুল্যায়ন কমিটির তিন বহিঃসদস্যকে আর্থিক প্রস্তাবনা খোলার বিষয়ে আহে থেকে কোন কিছুই অবহিত করা হয় নি। তবে ভারতের তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে চসিকে আসার জন্য ই মেইল করেছেন চতুর প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশ। জানা যায়, সকাল থেকে ভারতের তিনটি প্রতিষ্ঠান শাপুরজি পাহলানজি, সিগনেফাই ইনোভেশন ইন্ডিয়া, এনার্জি ইফিসিয়েনসি লিমিটেড ও স্থানীয় উপ ঠিকাদারের প্রতিনিধি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে হাজির হন। সুত্রমতে, নির্ধারিত সময় তিনটায় আর্থিক প্রস্তাবনা খোলার সময় জানা যায় এরআগে দরপত্র মুল্যায়নের নাম্বারসিট সকল সদস্যের স্বাক্ষরসহ রেজুলেশন আকারে পাঠানো হয় নি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে৷ মুল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠার পর ঝুলন কুমার দাশের পরামর্শে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল আলম ( বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বদলি হয়েছেন) মুল্যায়নের সার সংক্ষেপ ফরওয়ার্ড করেন ঋনদাতা প্রতিষ্ঠান এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কাছে। সওজ, এলজিইডির সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোন দরপত্রের কারিগরি প্রস্তাবনা মুল্যায়ন করার পর রেজুলেশন তৈরি না করে এভাবে দরপত্র মুল্যায়ন সংক্রান্ত ফরওয়ার্ডিং পাঠানোর কোন নিয়মই নেই। মঙ্গলবার শেষ মুহুর্তে আর্থিক প্রস্তাবনা না খোলে – আগে মুল্যায়ন পর্বের রেজুলেশন তৈরির পক্ষে মতামত প্রদান করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী তৌহিদুল আলম ও মুল্যায়ন কমিটির বহিঃসদস্যরা। গেল বছরের জুলাই মাসে এই প্রকল্পের দরপত্র মুল্যায়ন করার পর কেন রেজুলেশন তৈরিতে সাত মাস সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে -সেই প্রশ্নের উত্তর নেই চসিকের কারো কাছে। সুত্রমতে, একটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বনিম্ন নাম্বার দিয়ে অবমূল্যায়ন করার বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ভারতীয় দূতাবাস ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেবার কারণে নিজ উদ্দ্যেগে ক্রুটিপুর্ণ সেই মুল্যায়নের নাম্বার সিট মন্ত্রণালয় ও এক্সিম ব্যাংকে পাঠান ঝুলন কুমার দাশ। সবকিছুই তিনি করেছেন ভারতে কালোতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান শাপুরজি পাহলানজি লিমিটেডকে কাজ পাইয়ে দিতে। কোন কারণে ব্যর্থ হলে তার পছন্দের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান এনার্জি ইফিসিয়েনসি লিমিটেডকে ২৬০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেবার সব আয়োজন সম্পন্ন করে রেখেছেন স্বয়ং প্রকল্প পরিচালক। এরআগে মুল্যায়ন কমিটির সভায় নিম্মমানের এলইডি বাতির চায়না ব্রান্ড ‘ওসরামের’ নমুনা উপস্থাপন করে শাপুরজি পাহলানজি লিমিটেডের স্থানীয় উপ ঠিকাদার ‘ এইচটিএমএস লিমিটেড ‘। প্রতিষ্ঠানটির মালিক আফতাব আহমেদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কালো তালিকাভুক্ত এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর দরপত্রের নথি পরিবর্তন করে জুড়ে দেন এনার্জি প্যাক নামের আরেক প্রতিষ্ঠানের নাম।
এরআগে এইচটিএমএস লিমিটেডের এমডি আফতাব আহমেদ বলেন, ‘এই দরপত্রে আমি বা আমার প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়নি। দরপত্রে কেউ যদি আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে, তাহলে কেউ জালিয়াতি করার চেষ্টা করেছে।’
এমন জালিয়াতি ঢাকতে এইচটিএমএস’ এর বিকল্প হিসেবে এনার্জি প্যাক নামের ভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সামনে আনা হয়। অথচ স্বয়ং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং দরপত্র মুল্যায়ন কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ তিনি এই প্রকল্পের উপ ঠিকাদার হিসেবে এনার্জি প্যাকের নামই শুনেন নি। ‘
অনুসন্ধানে জানা যায়, জেনারেল হাসপাতালে যন্ত্রপাতি সরবরাহে দূর্নীতির শীর্ষ কুশীলব , ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যন্ত্রপাতি সরবরাহে দূর্নীতি চক্রের প্রধান আফতাব আহমেদ এইচটিএমএস’ লিমিটেডের সাইনবোর্ডের আড়ালে আস্তানা গাঁড়েন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে। আফতাব আহমেদের কালোতালিকাভুক্তির খবর গণমাধ্যমের শিরোনাম হবার পর তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এইচটিএমএস’ লিমিটেডকে সরিয়ে দিতে এনার্জি প্যাক থেকে একটি কোটেশন চেয়ে পাঠানো হয়েছিল ভারতের শাপোর্জি পালনজি লিমিটেডের পক্ষ থেকে। এছাড়া এনার্জি প্যাকের কোন সংশ্লিষ্টতা ছিলো না এই প্রকল্পের দরপত্রে।
মুল্যায়ন কমিটির তিনজন সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায়, দরপত্রে শাপুরজি পাহলানজি লিমিটেডের স্থানীয় উপ ঠিকাদার হিসেবে এইচটিএমএস’ লিমিটেড জাইকা এলইডি প্রকল্পে কাজ করার অভিজ্ঞতা সনদ ব্যবহার করেছিল । চসিকের নথি অনুযায়ী, দরপত্রে অংশগ্রহণ করা দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান এনার্জি ইফিসিয়েনসি লিমিটেডের স্থানীয় উপ ঠিকাদার হিসেবে যোগ দেয়া ‘ট্রেড ম্যাজিট্রিড লিমিটেড’ এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহবুব হোসেন একই সাথে এইচটিএমএস’ লিমিটেডেরও পরিচালক। দুটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেট তৈরি করে ২৬০ কোটি টাকার এলইডি প্রকল্পের কাজ দেবার কূটকৌশল অবলম্বন করার বিষয়টি প্রমাণিত হবার পরও কেন প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় নি ; সেই প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
সনাকের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আকতার কবির বলেন, জাইকার এলইডি প্রকল্পে দূর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ প্রমানিত হবার পরও সংস্থাটি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় নি। নতুন প্রকল্পের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তই করা হয় নি। যার পরিণতিতে আমরা কার্যালয়ে ঢুকে প্রকল্প পরিচালক গোলাম ইয়াজদানিকে উপর হামলার প্রকাশ্য দৃশ্য দেখলাম। সবকিছুই একই সুতোয় গাঁথা। সুশাসন আর জবাবদিহিতা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ব্যকরণ থেকে বিদায় করে দেয়া হয়েছে। এই সংস্থাটি রাজস্ব বিভাগ হতে শুরু করে বিদ্যুৎ উপ বিভাগ, পরিছন্ন বিভাগ থেকে শুরু করে প্রকৌশল বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ – সবখানে দূর্নীতি বাসা বেঁধেছে। ‘
সুত্রমতে, এইচটিএমএস’ লিমিটেডের করা জাইকার অর্থায়নে চলমান এলইডি প্রকল্পের কাজে নজিরবিহীন অনিয়ম ধরা পড়ে চসিকের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। সেই কাজটির উপ ঠিকাদার হিসেবে দেখানো হয়েছে ট্রেড ম্যাজিট্রিড লিমিটেডকে৷ শুরুতে একই ত্রুটিপূর্ণ কাজের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে এই প্রকল্পের দরপত্রে অংশগ্রহণ করেছিল দুই বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান। ক্রুটিপুর্ণ কাজের বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনকে কটাক্ষ করে ‘ তথাকথিত তদন্ত কমিটি ‘ বলে মন্তব্যের পরও ঝুলন কুমার দাশের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয় নি।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায় , জাইকার এলইডি প্রকল্পের কাজটি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের একটি কাজের ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ দেখিয়ে এইচটিএমএস’ লিমিটেডের নামে নেন চসিকের এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও ট্রেড ম্যাজিট্রিড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মাহবুব হোসেন। এইচটিএমএস’ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব আহমেদের কথোপকথনের রেকর্ড অনুযায়ী এইচটিএমএস’ কাজ পেলেও ট্রেড ম্যাজিট্রিড লিমিটেডের ‘ মাহবুব’ উপ ঠিকাদার হিসেবে কাজটি করেছেন। এই প্রকল্পের বেশ কয়েকজন শ্রমিকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশও কাজটির পার্টনার। এইচটিএমএস’ লিমিটেডের নাম ব্যবহার করে ভারতের শাপোর্জি পালনজি লিমিটেডের লোকাল পার্টনার হিসেবে নতুন এই কাজের উপ ঠিকাদারী নেবার সব আয়োজন সম্পন্ন করে নেন প্রকল্প পরিচালক ঝুলন ।
সুত্রমতে, জাইকার এলইডি প্রকল্পের মতো নতুন স্মার্ট এলইডি লাইট স্থাপনের এই প্রকল্পেও নিম্মমানের চায়না বাতির প্রস্তাব করা প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেবার জন্য প্রকল্প পরিচালক ঝুলন কুমার দাশ কোথাও তদবিরের কমতি রাখেন নি। ভারতের এক্সিম ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে এমনকি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের শীর্ষকর্তার টেবিলেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুল্যায়নের নাটকে প্রতিযোগিতার তালিকা থেকে কম নাম্বার দিয়ে বিদায় করে দেয়া বিশ্ববিখ্যাত লাইটের ব্রান্ড ‘ফিলিপস’এর কারিগরি প্রস্তাবনা রেসপনসিভ করার সিদ্ধান্ত আসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও ভারতের ঋনদাতা প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে। উচ্চ পর্যায়ের এমন সিদ্ধান্তে নিজের পছন্দের দুটি প্রতিষ্ঠানের একটিকে কাজ পাইয়ে দিতে প্রকল্প পরিচালকের সব কুটচাল ভেস্তে যায়। সুত্রমতে, শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে সেকারণেই আর্থিক প্রস্তাবনা তড়িঘড়ি করে খোলার আয়োজন করেন প্রকল্প পরিচালক।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে চলমান এলইডি প্রকল্পের কাজে লুটপাটের কাহিনি ফাঁস হবার পরও একই চক্রের কাছে ভারতীয় নমনীয় ঋন সুবিধার ২৬০ কোটি টাকার এলইডি প্রকল্পের কাজ দেবার জন্য নজিরবিহীন অনিয়মের উদাহরণ তৈরি করেছেন চসিকের প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ। নতুন এলইডি প্রকল্পের দরপত্রের শাখায় প্রশাখায় অসংখ্য অনিয়মের চিহ্ন লাগানোর পরও মুল্যায়ন কমিটির সদস্য ও টেন্ডার ওপেনিং কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে মঙ্গলবার ‘ আর্থিক প্রস্তাবনা খোলার’ এমন আয়োজনকে দিনদুপুরে পুকুরচুরি হিসেবে দেখছেন চসিকের কর্মকর্তারা।