আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৬ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে মারা গেছেন ৪ হাজার ৫৪৪ জন। অন্যদিকে সিরিয়ায় ১ হাজার ৮৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে তুরস্কে ৬ হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, এ ভূমিকম্পে দুই দেশে মোট আহত হয়েছেন ২৪ হাজার ৭৫২ জন। এর মধ্যে তুরস্কে আহত হয়েছেন ২১ হাজার ১০৩ জন এবং সিরিয়ায় ৩ হাজার ৬৪৯ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া প্রচণ্ড ঠান্ডা তো আছেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছে, উদ্ধারকারীরা অনেক মৃত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করছেন। তাই নাটকীয়ভাবে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। মৃত্যুর সংখ্যা আট গুণ বাড়তে পারে বলে সংস্থাটি সতর্ক করেছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
উল্লেখ্য, সোমবার (৬ ফেব্রয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প দেশ দুটিতে আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের পর আরও অন্তত ৭৭টি আফটারশক (পরাঘাত) অনুভূত হয়, যার মধ্যে তিনটি ছিলো রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি। আবার একটির মাত্রা ছিলো ৭ দশমিক ৫।