18 C
Dhaka
Sunday, February 16, 2025
More

    হজ্বযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু

    আরও পড়ুন

    নিজস্ব প্রতিবেদক 

    আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে হজ্ব যাত্রদের নিবন্ধন শুরু হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ৫ই ফেব্রুয়ারী রবিবার এক প্রজ্ঞাপনে নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

    সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক ৪২ হাজার ২৯৩ পর্যন্ত এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক ৭ লাখ ৮ হাজার ৩৬৪ পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।

    ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, হজে যেতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ৪৩৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ লাখ ৫৪ হাজার ১৪০ জন অপেক্ষমাণ প্রাক-নিবন্ধিত রয়েছেন।

    বিজ্ঞ‌প্তিতে জানানো হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের জন্য হজযাত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে। নিবন্ধনের পর হজে যেতে না পারলে ইতোমধ্যে ব্যয় হওয়া অর্থ ছাড়া বাকি অর্থ ফেরত পাবেন। হজের খরচ বাড়লে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে। কোন অর্থ উদ্বৃত্ত থাকলে তা হজযাত্রীকে ফেরত দেওয়া হবে।

    মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক সম্মেলন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান হজ। প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৌদি আরবের মক্কা গমনকারীদের বৃহৎ মিলনায়তনে শামিল হন বাংলাদেশের মুসলমানরাও। করোনার প্রকোপে ২০২০ থেকে এই আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সম্মেলনটি শুধুমাত্র সৌদির হজপালনকারীদের জন্য সীমাবদ্ধ করায় বিশ্বের অন্যান্য তীর্থযাত্রীদের ন্যায় বাংলাদেশিরাও বঞ্চিত হয়েছেন হজে অংশগ্রহণ থেকে। এ বছর যথাযথ সতর্কতা মেনে সৌদি হজ কর্তৃপক্ষের প্রণীত নীতিমালা অনুসরণের মাধ্যমে হজের জন্য প্রস্তুতি নেয়া যাবে। চলুন জেনে নিই ২০২২ সালে কিভাবে হজের জন্য নিবন্ধন করবেন।

    হজের নিবন্ধন পদ্ধতি
    বাংলাদেশে প্রতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের নিবন্ধন নেয়া হয়। তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়া হজ যাত্রীর সংখ্যা মোট হজ যাত্রীর মাত্র ৫ শতাংশ। সরকারি-বেসকারি উভয় ক্ষেত্রেই যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো প্রাক-নিবন্ধন।

    হজের জন্য সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর পৃথিবীর সকল দেশের একটি নির্দিষ্ট কোটা নির্ধারণ করেন দেয়। মক্কা-মদীনায় থাকা-খাওয়া সংক্রান্ত জরুরি সেবা প্রদানের জন্য ধারণ ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে এই কোটা বরাদ্দ হয়ে থাকে।

    এরপরেও প্রতি বছর এই কোটার বাইরেও বহু সংখ্যক আবেদন জমা পড়ে। আর এই জন্যই বাংলাদেশের হজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সৌদি ই-হজ সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাক-নিবন্ধন পদ্ধতির অবতারণা। প্রাক-নিবন্ধিত লোকদের ভেতর থেকে প্রতি বছর কোটা অনুসারে হজে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে অপেক্ষমান যাত্রীদের পরের বছরে হজে যেতে হয়।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর