পিরোজপুর প্রতিনিধি :
বাংলাদেশের খ্যাতনামা ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (রহ.) শুধু ধর্মীয় অঙ্গণের ব্যক্তিত্ব নন, তিনি ছিলেন পিরোজপুরের মানুষের একজন জনপ্রিয় জননেতা। দু’দফা সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করার সময় তিনি এলাকার উন্নয়ন, অবকাঠামোগত পরিবর্তন ও জনকল্যাণে যে ভূমিকা রেখে গেছেন, তার স্পষ্ট ছাপ আজও জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যমান।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
সংসদ সদস্য থাকাকালে তিনি পিরোজপুরের সামগ্রিক উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন।
যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন: গ্রামীণ সড়ক সংস্কার, নতুন সেতু-কালভার্ট নির্মাণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের কাজে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এতে স্থানীয় অর্থনীতি সক্রিয় হয় এবং মানুষের দৈনন্দিন চলাচল সহজ হয়।
শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান: বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ ও স্বীকৃতি লাভের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা স্মরণীয়। এতে শিক্ষার্থীরা উন্নত শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে।
বিদ্যুৎ সুবিধার বিস্তার: অনেক দুর্গম এলাকায় প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁর প্রচেষ্টায়, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনে বিশাল পরিবর্তন আনে।
আল্লামা সাঈদী সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখতেন।
তিনি স্থানীয় মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়াতেন, অভিযোগ শুনতেন এবং সমাধানের চেষ্টা করতেন। তাঁর সহজ-সরল আচরণ ও সহজলভ্যতা তাকে দলীয় সীমারেখা ছাড়িয়ে সব শ্রেণির মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে।
পিরোজপুরের এক প্রবীণ বাসিন্দা জানান, “হুজুর এমপি থাকা অবস্থায় আমরা খুব সহজেই তাঁর কাছে সমস্যা নিয়ে যেতে পারতাম। এলাকার উন্নয়নে তাঁর কাজ আজও ভুলে যাওয়ার নয়। মানুষের সেবা যে সবচেয়ে বড় ইবাদত—তিনি তা বাস্তবে দেখিয়েছেন।”
স্থানীয়দের মতে, পিরোজপুরের অবকাঠামো ও সামাজিক উন্নয়নে আল্লামা সাঈদীর উদ্যোগগুলো ছিল যুগান্তকারী। তাঁর দুই মেয়াদের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তাকে পিরোজপুরের ইতিহাসে স্থায়ীভাবে জায়গা করে দিয়েছে।
পিরোজপুরের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তাঁর অবদান ভবিষ্যতেও উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে—এমনটাই মনে করেন স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
