চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের গণমানুষের অধিকার অর্জনের নেত্রী উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশের সংকটময় সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাঁর রাজনৈতিক দর্শন। এক-এগারোর সময় দেশত্যাগের প্রস্তাব পেলেও তিনি জনগণের অধিকার রক্ষার সংগ্রাম থেকে কখনো পিছিয়ে যাননি।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) মাগরিবের পর নগরীর আমানত শাহ (রহ.) মাজারসংলগ্ন মসজিদ প্রাঙ্গণে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেনের উদ্যোগে আয়োজিত এ দোয়া মাহফিলে দেশনেত্রীর সুস্থতা, দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা তবারক আলী।
দোয়া মাহফিলে ডা. শাহাদাত দাবি করেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে বছরের পর বছর কারাবন্দি রাখা হয়েছে। জেলখানায় নির্যাতন করা হয়েছে, এমনকি ‘স্লো পয়জনিং’ এর মাধ্যমে হত্যারও চেষ্টা করা হয়েছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি এভার কেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখে এসে জানান, কারাবাসের কারণেই তাঁর কিডনি ও লিভারের গুরুতর ক্ষতি হয়েছে।
ডা. শাহাদাত বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিশোধের সংস্কৃতি প্রবল। কিন্তু ১৯৯১ ও ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়া প্রতিশোধমূলক রাজনীতি করেননি। এটি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের এক বিরল মহত্ত্ব।”
তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালের এক-এগারোর সময় শেখ হাসিনা বিদেশে চলে গেলেও খালেদা জিয়া দেশ ছাড়েননি। বলেন, “‘চিকিৎসা নেব দেশে, মরলে এখানেই মরব।’ তাঁর সেই দৃঢ়তার কারণেই ‘মাইনাস টু’ পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।”
অনুষ্ঠানে অংশ নেন— চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের প্রার্থী আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, হারুন জামান, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ অঙ্গসংগঠনের বিপুল নেতাকর্মীরা।
দোয়া মাহফিল শেষে তিনি তনজিমুল মোসলেমীন এতিমখানার শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।
এই বাংলা/এমএস
টপিক